খাদ্য ব্যবস্থা ধ্বংসে ‘অনাহার’ কৌশল প্রয়োগ করছে ইসরায়েল

ফিলিস্তিনিদের ইচ্ছাকৃতভাবে অনাহারে মারতে চায় ইসরায়েল। ছবি: রয়টার্স

খাদ্য ব্যবস্থা ধ্বংসে ‘অনাহার’ কৌশল প্রয়োগ করছে ইসরায়েল

অনলাইন ডেস্ক

ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। এমন অবস্থায় সেখানে দেখা দিয়েছে তীব্র মানবিক সংকট। ভূখণ্ডটিতে ‘অনাহার অভিযানের’ অংশ হিসেবে ইসরায়েল গাজার খাদ্য ব্যবস্থা ধ্বংস করছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতিসংঘের এক বিশেষজ্ঞ। শুক্রবার (৮ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

মাইকেল ফাখরি বলেন, ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে গাজাবাসীর খাবার সরবরাহ নষ্ট করছে এবং অবরুদ্ধ অঞ্চলটিতে খাদ্য সহায়তা প্রবেশে বাধা দিচ্ছে। দেশটি গত বছরের অক্টোবরে শুরু হওয়া সংঘাতের একদম শুরু থেকেই এমনটি করছে।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে দেওয়া বক্তৃতায় বিশ্ব সংস্থাটির খাদ্য অধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদক, লেবাননি বংশোদ্ভূত কানাডীয় আইনের অধ্যাপক মাইকেল ফখরি আরও বলেন, “গাজায় অনাহারের চিত্রগুলো অসহনীয় অথচ আপনারা কিছুই করছেন না। ” এমনকি ফিলিস্তিনিদের অনাহারে রাখার ইসরায়েলি কর্মকাণ্ডকে ‘গণহত্যা’ হিসাবেও আখ্যায়িত করেছেন তিনি।

তিনি বলেছেন, ইসরায়েল খাদ্য এবং ক্ষুধাকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করছে।

গত বছরের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজার ফিলিন্তিনিরা অভূতপূর্ব অনাহারের সম্মুখীন হয়েছে উল্লেখ করে ফাখরি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘যখন যুদ্ধ শুরু হয়, তখন আমরা দেখেছি মানুষ অভূতপূর্ব উপায়ে ক্ষুধার্ত থাকছে। এতো তাড়াতাড়ি ক্ষুধার্ত হতে আমরা কোনও সম্প্রদায়কে দেখিনি। এখন আমরা যা দেখছি তা হলো দুর্ভিক্ষ। শিশুরা অপুষ্টি এবং পানিশূন্যতায় মারা যাচ্ছে। ’

তিনি আরও বলেন, আধুনিক ইতিহাসে কোনও সংঘাতে শিশুদের এতো দ্রুত অপুষ্টির শিকার হতে আমরা দেখিনি।

বিশ্বের সুনির্দিষ্ট ইস্যু ও সংকটগুলো নিয়ে জাতিসংঘকে পরামর্শ ও প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নিযুক্ত কয়েক ডজন মানবাধিকার বিশেষজ্ঞের একজন ফখরি তার বক্তৃতায় ৪৭ সদস্যের জেনেভা কাউন্সিলে অভিযোগ করে বলেন, ইসরায়েল গাজার জেলেদের সাগরে নামতে তো দিচ্ছেই না তাদের নৌকা ও কুটিরগুলোও ধ্বংস করে দিচ্ছে।

চারদিক থেকে অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনে পাঁচ মাস ধরে চলা ইসরায়েলি হামলায় ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত ও প্রায় ৭০ হাজার ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে। অবিরাম বোমা ও গোলা হামলায় ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডটি প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

news24bd.tv/DHL