পাহাড়ে প্রার্থীদের দৌঁড়ঝাপ বাড়ছে

প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা।

পাহাড়ে প্রার্থীদের দৌঁড়ঝাপ বাড়ছে

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি প্রতিনিধি

মাত্র নয় দিন পর শুরু হবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তাই নির্বাচনের বাকি সময়টুকু কাজে লাগাতে প্রার্থীদের এখন দৌঁড়ঝাপ চলছে পুরোদমে। নির্বাচনে আমেজ ছড়িয়ে পরেছে রাঙামাটি ১০ উপজেলায়। আওয়ামী লীগ, বিএনপির সঙ্গে, জাতীয় পার্টি অ্যাডভোকেট পারভেস তালুকদারের পোস্টার শোভা পাচ্ছে নির্বাচনী এলাকায়।

সড়ক ও নদী পথেও চলছে প্রচারণা। জনসমর্থক নিয়ে মাঠে ময়দানে ছুটছে তিনি। অন্যদিকে পাহাড়ি পল্লী, গ্রাম ও হাট-
বাজারে ব্যানার পোস্টার নিয়ে ভোটারদের বাড়িতে ছুটছে আওয়ামী লীগের দীপংকর তালুকদার ও বিএনপির
প্রার্থী মনিস্বপন দেওয়ানের সমর্থকরা। দিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রতি।

করছেন এলাকায় এলাকায়
উঠান বৈঠক, গণসংযোগ, সমাবেশ ও মাইকিং। একই সঙ্গে চলছে বর্তমান সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার
(স্বতন্ত্র) প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণা।

অন্যদিকে সম্ভাব্য প্রার্থীদের জয়-পরাজয় নিয়ে ভোটারদের মাঝেও চলছে হিসাব-নিকাশ। প্রার্থীদের মাঝে যেমন বেড়েছে তোড়জোর, তেমনি ভোটারদের মাঝেও চলছে প্রার্থীদের সম্পর্কে আলোচনা ও পর্যালোচনা। তবে আওয়ামী লীগ মরিয়া রাঙামাটি-২৯৯নং আসনটি ধরে রাখতে এবং বিএনপি মরিয়া আওয়ামী লীগের দুর্গ ভেঙে পুনরুদ্ধারে। পিছিয়ে নেই জাতীয় পার্টি। তৎপর জনসংহতি সমিতি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাঙামাটি-২৯৯ আসনে বিএনপি ও জাতীয় পার্টির দল অংশ গ্রহণ না করায় ভোটের লড়াই হয় জাতীয় রাজনৈতিক ক্ষমতাশীল দল আওয়ামী লীগের রাঙামাটি প্রার্থী ও আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির প্রার্থীর সঙ্গে। সেবার আওয়ামী লীগ প্রার্থী দীপংকর তালুকদারের জয় চিনিয়ে নেয়
জেএসএসের প্রার্থী ঊষাতন তালুকদার। কিন্তু এবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক মাঠে যোগ হয়েছে ভিন্ন মাত্র। আওয়ামী লীগ ও জেএসএস ছাড়া নির্বাচনে অংশ নিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট (বিএনপি) প্রার্থী মনিস্বপন দেওয়ান ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী অ্যাডভোকেট পারভেস তালুকদার। তাই লড়াইও হবে হাড্ডাহাড্ডি। কেউ কাউকে ছোট করে দেখছে না। তাই
প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে সমান তালে।

এব্যাপরে জাতীয় পার্টির প্রার্থী অ্যাডভোকেট পারভেস তালুকদার বলেন, দেশের অন্যান্য জেলার চেয়ে পার্বত্যাঞ্চলের রাজনৈতিক চিত্র ভিন্ন। এখানে বসবাসরত মানুষগুলো দলের চেয়ে ব্যক্তিকে বেশি গুরুত্ব দেন। তাই পার্বত্যাঞ্চলের শান্তি
প্রতিষ্ঠা জন্য দলের মনোনয়ন মুখ্য নয়- প্রার্থীদের মধ্যে যিনি প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক এবং সর্বক্ষেত্রে যোগ্য তাকে দেখেই নিজেদের ভোট প্রয়োগ করবেন ভোটারা। আমি নিজেও অনুভব করেছি সাধারণ মানুষের মধ্যে আলোচনায় এসেছে পাহাড়ে সংসদ নির্বাচনের বিষয়টি। তাই আমি একজন তরুণ প্রার্থী নির্বাচনে লড়াই করছি। তরুণদের উন্নয়নের জন্য।

প্রসঙ্গত, রাঙামাটির ১০ উপজেলার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও বাঙালী মিলে ২৯৯নং আসনে মোট ভোটার ৪লাখ ১৮হাজার ২১৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ২৬হাজার ৫৩৬ ও নারী ভোটার ২লাখ১৫ হাজার ৩০৭ জন।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/মুমু/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর