প্রিয়াঙ্কা রেড্ডির ধর্ষকদের এনকাউন্টারে তারকাদের প্রতিক্রিয়া

প্রিয়াঙ্কা রেড্ডির ধর্ষকদের এনকাউন্টারে তারকাদের প্রতিক্রিয়া

অনলাইন ডেস্ক

হায়দ্রাবাদ এনকাউন্টার নিয়ে দুই ভাগ ভাগ হয়ে গেছেন তারকারা। ধর্ষণে অভিযুক্তদের সমর্থনে নেই কেউই। সেটাই স্বভাবিক। কিন্তু যেভাবে এনকাউন্টার হয়েছে, তা মেনে নিতে পারেননি অনেকেই।

প্রশ্ন রয়েছে বিশ্বাসযোগ্যতার ক্ষেত্রেও। অপর্ণা সেন, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়রা এনকাউন্টারের বিপক্ষে মত দিয়েছেন। তবে পুলিশের জয়গানের দিকেই পাল্লা ভারী আছে।  

সোশ্যাল মিডিয়ায় সকালবেলা এনকাউন্টারের খবর‍টা ছড়িয়ে পড়তেই কমেন্ট বক্সে যেন জয়ের গান, স্বস্তির নিশ্বাস।

বলিউড টলিউড তারকারাও পুলিশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।  

সকালবেলাতেই ঋষি কাপুরের টুইট, ‘সাবাশ! তেলঙ্গানা পুলিশ। অনেক শুভেচ্ছা। ’ একই সুরে গলা বাঁধল অনুপম খেরও। তিনি টুইটারে লিখেছেন, ‘যারা এ রকম জঘন্য অপরাধীদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন তারা আজ সবাই আমার সঙ্গে এক সুরে বলে উঠুন ‘জয় হো’। ’

তবে পরিচালক অপর্ণা সেন এই এনকাউন্টারকে সমর্থন করতে পারেননি। তাঁর প্রশ্ন, ‘ওই চার নই যে ধর্ষণ করেছিলেন, এটা কি করে নিশ্চিত হলো হায়দ্রাবাদের পুলিশ? আবার যদি তারা অপরাধী হয়েও থাকে, তাহলে শাস্তিটা পেল কোথায়? পুলিশ হেফাজতে থাকতেই তো মৃত্যু হয়ে গেল। ’ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘অত ভোরে পুলিশবাহিনীর হাত থেকে কিভাবে অভিযুক্তরা পালিয়ে গেল? সেটা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। তবে, পুলিশ যা করেছে তা প্রশংসার যোগ্য। ’

অভিনেতা দেবের মতে, এটারই প্রয়োজন ছিল। পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে নুসরত জাহান লিখেছেন, ‘অবশেষে...বিচার/ আইন বিভাগের কাউকে তো বিচার পাইয়ে দিতে হবে। অবশেষে আওয়াজ উঠেছে। অপরাধীদের বেঁচে থাকার কোনও অধিকার নেই। ’ অভিনেত্রী এবং বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের ভাষায়, ‘এত বড় ঘটনার পরেও দোষীরা পালানোর চেষ্টা করেছে, এটা ভেবেই অবাক লাগে। ধন্যবাদ জানাই হায়দ্রাবাদ পুলিশকে। ’

যদিও লেখক সাংবাদিক বীর সাংভি লিখেছেন, ‘ধর্ষকদের জন্য এক ফোঁটা চোখের জলও নয়। তবে আমি চিন্তিত, এরাই যে ধর্ষক সে বিষয়ে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত কি করে হচ্ছি আমরা জনগণেরা? শুধুমাত্র পুলিশ বলেছে তাই? দ্বিতীয়ত, যদি এ রকম হত্যাকে আমরা প্রশংসা করি তবে পরবর্তীকালে পুলিশ তো যাকে খুশি তাকেই হত্যা করার ছাড়পত্র পেয়ে গেল। ’ 

শুক্রবার ভোরে কি হয়েছিল ? পুলিশের বয়ান অনুযায়ী, গণধর্ষণ এবং খুনে অভিযুক্ত চারজনকে কড়া প্রহরায় সামসাবাদের ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে আন্ডারপাসে নিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ। পুলিশের উদ্দেশ্য ছিল ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা।  

পুলিশের দাবি, ওই সময়ই অভিযুক্ত চারজন পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে গুলি চালানোরও চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। আত্মরক্ষার স্বার্থে অনেকটা বাধ্য হয়েই গুলি ছোড়ে পুলিশ। এ ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় অভিযুক্তদের।

সূত্র: আনন্দবাজার

 

নিউজ টোয়েন্টিফোর/ডিএ