আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীতে থাকা খালেদ মোশাররফ, কর্নেল হুদা, হায়দারসহ অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা অফিসার ও সৈনিককে নির্মমভাবে হত্যা করে। গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির প্রাণ ভোমরাকে আবদ্ধ করে সামরিক ছায়ায় হ্যাঁ-না ভোটের ক্যানভাসে ১১০ ভাগ ভোটও জিয়াউর রহমান সেদিন পেয়েছিলেন। এটাই হচ্ছে বহুদলীয় গণতন্ত্রের নমুনা।
বুধবার দুপুরে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় তিনি আরও বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কারণেই জিয়াউর রহমান খুনিদের দায়মুক্তির ব্যবস্থা করেছিলেন। জিয়াউর রহমানের জড়িত থাকার বিষয়টি বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি কর্নেল ফারুক, রশিদ, মাজেদরা মিডিয়ায় নিজেদের সাক্ষাৎকারে বলেছে। জড়িত ছিল বলেই খুনিদের পুনর্বাসনের জন্য ও বিচারকার্য বাধাগ্রস্ত করতে জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ সংবিধানে পাশ কারে দায়মুক্তির বিধান করে। আমরা বুঝতে পারি না, ঐতিহাসিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে পরীক্ষিত এই সত্যকে বিএনপি অস্বীকার করে কীভাবে?আওয়ামী লীগের যে সকল জেলা, মহানগর এবং সহযোগী সংগঠগুলোর সম্মেলন হয়েছে কিন্তু পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি, তাদের ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দেোয়ার নির্দেশ দেন সাধারণ সম্পাদক।
দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, দীপু মনি, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগটনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামল হোসেন, মির্জা আজম প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল