পল্লবী থানার তিন পুলিশ সদস্যকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

পল্লবী থানার তিন পুলিশ সদস্যকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক

সাড়ে ছয় বছর আগে থানায় নিয়ে গাড়িচালক ইশতিয়াক হোসেন জনিকে পিটিয়ে হত্যার মামলায় পল্লবী থানার তিন পুলিশ সদস্যকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া মামলার অন্য আসামি পুলিশের কথিত দুই সোর্সকে ৭ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।  

বুধবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েস এই রায় ঘোষণা করেন। এর মধ্য দিয়ে এই প্রথম নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইনে করা কোনো মামলার রায় হলো।

 

রাজধানীর পল্লবিতে এক গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে পুলিশের কথিত দুই সোর্সের সাথে বিবাদে জাড়িয়ে পড়ায় জনি ও তার ভাইকে তুলে নেয় পুলিশ। তাদেরকে থানায় নিয়ে মারধর করলে গুরুতর আহত অবস্থা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ঢাকা মেডিকেলে জনির মৃত্যু হয়।  

ওই ঘটনায় ২০১৪ সালের ৭ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে নির্যাতন ও পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু আইনে পল্লবী থানার ওসি জিয়াউর রহমানসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন নিহত জনির ছোট ভাই রকি।

এমামলায় পুলিশের তিন সদস্যসহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করা হয়।

ঘটনার ৫ বছর পর এ মামলার রায় ঘোষণা করলেন ঢাকা মহানগর হাকিম ইমরুল কায়েশ। জনি হত্যা মামলার পাঁচ আসামির মধ্যে তিনজন পুলিশ তৎকালীন উপপরিদর্শক জাহিদুর রহমান, সহকারী উপপরিদর্শক রাশেদুল ইসলাম ও এএসআই কামরুজ্জামানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।  

একই সাথে তাদের ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। আর পুলিশের কথিত দুই সোর্স সুমন ও রাসেলকে দেয়া হয় ৭ বছর করে কারাদণ্ড। দণ্ডিত আসামিদের মধ্যে কামরুজ্জামান ও রাসেল পলাতক। আগে থেকেই কারাগারে জাহিদুর রহমান। জামিনে ছিলেন রাশেদুল ইসলাম। রায়ের পর তাকে পাঠানো হয় কারাগারে।

এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন নিহর জনির পরিবারের সদস্যরা।

তবে রায়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করে আপিল করা কথা জানান আসামীপক্ষের আইনজীবী।

এ মামলায় ২৪ জনের সাক্ষ্য নিয়েছেন আদালত। ২০১৩ সালে পাস হওয়া নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে করা কোনো মামলার প্রথম রায় এটি।

 

নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল