ঠাকুরগাঁওয়ে গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে ডুবেছে ঘর-বাড়ি, ফসলি জমিসহ রাস্তাঘাট। এতে ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন মানুষ।
ঘর থেকে বের হতে না পারায় খেটেখাওয়া মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। না পারছেন কাজ করতে না পারছেন সংসারের খরচ জোগাতে।
বৃষ্টিতে অধিকাংশ কাঁচা-পাকা সড়ক ভেঙ্গে বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও-দিনাজপুর মহাসড়কের অসংখ্য স্থানের ঢালাই উঠে গিয়ে গভীর গর্ত তৈরি হওয়ায় তা যেন মরণ ফাঁদে পরিণত পরিণত হয়েছে। এসব গর্তের কারণে এরইমাঝে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং অসংখ্য মোটরযানের যান্ত্রিক ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: আশুগঞ্জে ব্যাংকের নিরাপত্তাকর্মীর হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আফতাব হোসেন জানান, গত তিন দিনে ১৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড.কেএম কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, নদীর তলদেশের কয়েকটি অঞ্চল জলাবদ্ধ হয়েছে। বাসিন্দাদের উদ্ধার করে জেলা শিল্পকলা একাডেমি ভবনসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) বন্যার কবলে পড়া পরিবারের তালিকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এসব পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেয়ার জন্য ইতোমধ্যে ১২ লাখ টাকা ইউএনওদের বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
news24bd.tv নাজিম