দূর হচ্ছে স্পেন প্রবাসীদের পাসপোর্ট জটিলতা!

দূর হচ্ছে স্পেন প্রবাসীদের পাসপোর্ট জটিলতা!

ইসমাইল হোসাইন রায়হান

বছর পেরিয়ে গেলেও মিলছে না বাংলাদেশি পাসপোর্ট। ভুক্তভোগীরা পড়েছে চরম ভোগান্তিতে। দূতাবাসের আপ্রাণ চেষ্টা থাকলেও সাড়া দিচ্ছে না বাংলাদেশ পাসপোর্ট অধিদপ্তর।

২০১৯ সালে রাষ্ট্রদূতের দেওয়া স্মারকের পরও আটকে থাকা পাসপোর্ট আসছে না।

পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ডিজির এপ্রুভাল চিঠি ইস্যু হওয়ার পরও পাসপোর্ট পাচ্ছে না অনেক বাংলাদেশি। তবে পাসপোর্টের জন্য অপেক্ষারত কিছু বাংলাদেশি অর্থনৈতিক লেনদেন মাধ্যমে তাদের পাসপোর্ট ছাড়িয়ে আনছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

বাংলাদেশি পাসপোর্ট না পাওয়ায় অনেকের স্প্যানিশ রেসিডেন্ট কার্ড রিনিউ করতে পারছে না। এতে অনেকের অবৈধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় ভুগছেন।

ভুক্তভোগীরা গতবছর প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের কাছে সরাসরি বিষয়টি সমাধানের অনুরোধ জানিয়ে আশ্বাস পায়। কিন্তু বছর পেরিয়ে গেলেও সমাধান হয়নি। এতে ভুক্তভোগীরা আছেন চরম হতাশা ও অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশ প্রতিদিনে ১৩ অক্টোবর ২০২০ তারিখে পাসপোর্ট জটিলতায় ভুগছে স্পেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী অবলোকন করেছেন এবং বর্ণিত বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশো প্রদান করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগী জানান, তার পাসপোর্ট প্রায় দেড় বছর ধরে আটকে আছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, বন পরিবেশ মন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী বলার পর পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ডিজি এপ্রুভাল চিঠি ইস্যুর অনুমোদন দেন। এপ্রুভাল চিঠি ইস্যুর পর AFIS এবং DEMO বিভাগ টাকার জন্য তার পাসপোর্ট প্রিন্টে দেয়নি বলে অভিযোগ করেন।

অন্য ভুক্তভোগী বলেন, একই সমস্যা নিয়ে তারা দুই বন্ধু পাসপোর্ট এর আবেদন করেন। তার বন্ধু দালালের মাধ্যমে টাকা দিয়ে পাসপোর্ট পেলেও তিনি পাননি। যে কারণ স্প্যানিশ নাগরিকত্ব হারানোর পথে তিনি।

স্পেনের কমিউনিটি নেতারা পররাষ্ট্র মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান, তারাও পাসপোর্ট অধিদপ্তর একটি দুর্নীতিগ্রস্থ অধিদপ্তর বলে আখ্যা দেন। এখানে টাকা ছাড়া কোনো কাজ হয় না বলেও অভিযোগ করেন। দূতাবাসের শতভাগ চেষ্টার পরও দালাল চক্রের কারণে তারা প্রবাসী বাংলাদেশিদের উপকার করতে পারছে না। পাসপোর্ট অধিদপ্তরের দালাল হটিয়ে রেমিটেন্স যোদ্ধাদের সহযোগিতা করার জন্য আহবান জানান তারা।

স্পেন ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জানান, দেশরত্ন শেখ হাসিনা একজন প্রবাসীবান্ধব প্রধানমন্ত্রী। প্রবাসীদের নিয়ে সবসময় ভাবেন। প্রবাসীদের সমস্যা সমাধানে তিনি সবসময় খোঁজ খবর রাখেন। আমরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ইতিমধ্যে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রীর মাধ্যমে সৌদি আবর থেকে বিনা খরচে ৪টি লাশ বাংলাদেশে পাঠিয়েছি। দীর্ঘ দিনের পাসপোর্ট জটিলতা সমাধানের জন্য প্রায় ১ বছর ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সাবেক প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী থেকে শুরু করে অন্য মন্ত্রীকে আমরা বিষয়টি জানিয়েছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্পেন সফলকালে আমরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীদের সমস্যা সমাধানের অনুরোধ করি। এজন্য আজকে প্রবাসীদের দীর্ঘদিনের সমস্যা সমাধানের পথে।

সম্পর্কিত খবর