করোনার ধাক্কা কাটিয়ে ঘুরে দাড়াচ্ছে আবাসন খাত। বাড়ছে ফ্ল্যাট ও প্লটের বেচাকেনাও। ফলে কর্মযজ্ঞ বাড়ছে নির্মাণ সংশ্লিষ্ট সাড়ে ৪শর বেশি পণ্যভিত্তিক উপখাতেও। উদ্যোক্তা ও বিশ্লেষকদের মতে,সার্বিক অর্থনীতিকে গতিশীল রাখতে হলে উন্নত বিশ্বের মতো আবাসন ও সংশ্লিষ্ট খাতকে চাঙ্গা রাখতে হবে।
এক্ষেত্রে সহজ শর্তে দীর্ঘমেয়াদী ঋণ এবং এ খাতে নীতি সহায়তা বাড়ানোর তাগিদ খাত সংশ্লিষ্টদের।মহামারীর ক্ষত কাটিয়ে একটু একটু করে কর্মচঞ্চল হয়ে উঠেছে তিলোত্তমা নগরী ঢাকা। সব বাঁধা পেরিয়ে সচল হয়ে উঠছে সাধারণ মানুষের জীবন ও জীবিকাও।
নেত্রকোনার ওয়ারেছ মিয়া।
মহামারী করোনার প্রভাবে প্রায় থমকে ছিল আবাসিক কিংবা বাণিজ্যিক জমি ও প্লটের বেচাকেনা। ফলে আটকে ছিল এ খাতে মোটা অঙ্কের বিনিয়োগ।
আবাসন মালিকদের সংগঠন রিহ্যাবের হিসাবে, মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপিতে আবাসন ও নির্মাণ খাতের অবদান ১৫ শতাংশ। এছাড়া আবাসন ও নির্মাণ শিল্পকে কেন্দ্র করে ইট,সিমেন্ট, রড,বালু,সিরামিক, স্যানিটারিসহ সংশ্লিষ্ট দুই শতাধিক শিল্প গড়ে উঠেছে। তবে ইলেকট্রিক্যাল, ফার্নিচার, উড, পিভিসি পাইপসহ সহযোগী খাত ও উপখাত বিশ্লেষণ করলে এ সংখ্যা দাড়ায় ৪৫৮ তে। খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্থবির হয়ে থাকা এসব খাত ও উপখাতের ৫৯ লাখ শ্রমিক কর্মচারীর অধিকাংশই এখন কাজে ফিরতে শুরু করেছে।
রিহ্যাবের সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন জানান, রিহ্যাবের অনেক মেম্বারাই তাদের কাজ আবারো শুরু করেছে। এবং তাদের বেচাকেনা ভাল বলেও জানান তিনি।
বিল্ডিং ফর ফিউচারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীরুল ইসলাম প্রবালও জানালেন একই কথা।
উদ্যোক্তা ও অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, আবাসন খাত সচল হলেই ঘুরে দাঁড়াবে অন্যান্য সহায়ক শিল্প ও অর্থনীতি। এক্ষেত্রে উন্নত বিশ্বের মতো ব্যাংকের সহযোগীতা জরুরী।
অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর বলছেন, অর্থের যোগানটা বড় ব্যাপার। খাতকে এগিয়ে নিয়ে ফিন্যানসিয়াল দিকটাই নজর দিতে হবে।
রিহ্যাবের হিসাবে, বছরে ১৫ থেকে ১৭ হাজার ফ্ল্যাট সরবরাহ করছে সংগঠনটি। করোনাকালে চরম ধস নামে যার বেচাকেনায়।
news24bd.tv আহমেদ