চীনের নেতৃত্বে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে বাংলাদেশ অংশ না নেয়ায় আগামীতে বাণিজ্যিক ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন; এমন আশঙ্কার কথা বলছেন ব্যবসায়ীরা। এক্ষেত্রে বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিক অবজারভার হওয়ারও পরামর্শ পোশাক ব্যবসায়ীদের।
অর্থনীতি বিশ্লেষকরাও বলছেন, এলডিসি থেকে উন্নীত হলে রপ্তানিতে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এছাড়া প্রতিযোগী দেশগুলোর কাছে সক্ষমতা হারাতে পারে বাংলাদেশ।
দীর্ঘ ৮ বছরের আলোচনা ও হিসাব নিকাশ শেষে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ১৫ দেশ মিলে গঠন করা হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল। গেল রোববার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ানের ১০ দেশ এবং চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড আরসিইপি নামের এই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে সই করে।
বিশ্ব অর্থনীতির ৩০ শতাংশ ধারণকারী এই দেশগুলোতে আছে বৈশ্বিক জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ, রয়েছে ২০২ কোটি ভোক্তা। অনেকের মতে, এই চুক্তি বিশ্ববাণিজ্যে মৌলিক এবং দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলবে।
বিজিএমইএ-এর সহ-সভাপতি আরশাদ জামাল জানান, এই চুক্তিতে বাংলাদেশের নাম না থাকায় ব্যবসায়ীক ক্ষতির সম্মুক্ষিণ হতে হবে। তবে সরকার যেন এটাকে যথাযথ পর্যবেক্ষণ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
ডিসিসিআই সভাপতি শামস মাহমুদ বলছেন, ব্যবসায়ীক ক্ষতি এড়াতে কিভাবে এখানে ঢোকা যায় সেদিকে চেষ্টা চালাতে হবে।
বিশ্বের বড় বাণিজ্যিক জোটগুলোর সাথে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করা না গেলে এলডিসি থেকে বেরিয়ে যাবার পর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন অর্থনীতি বিশ্লেষকরাও। বিশেষ করে পোশাক খাতে প্রতিযোগীতা সক্ষমতা হারাতে পারে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী নারীরাই বেশি সাইবার ক্রাইমের শিকার
সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলছেন, আমাদের ছোট ছোট প্রতিবেশি দেশগুলো সল্প শুল্ক সুবিধা নিয়ে চীনের বাজারে ঢুকতে পারবে। যেটা আমরা আর পারবো না।
অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর বলছেন, এশিয়ার বাজারটাই সবচেয়ে বড় বাজার। পোশাক শিল্পেও এই ২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্বের অন্যতম বাজর হবে। তাই এটির উপর গুরুত্ব আরোপ অপরিহার্য।
নতুন এই জোটে যুক্ত হয়নি প্রতিবেশি ভারতও। তবে আরসিইপি দেশগুলোর মধ্যে বিনিয়োগ ও উন্নয়নের যে নেটওয়ার্ক তৈরি হচ্ছে তাতে জোটভুক্ত দেশগুলোর কাছে বিনিয়োগ ও ব্যবসা হারাতে পারে এমন শঙ্কাও থাকছে বলে মত অর্থনীতি বিশ্লেষকদের।
news24bd.tv আহমেদ