সাকিব আল হাসান অনেক কিছুতেই প্রথম হয়েছেন। সাম্প্রদায়িক ধর্মীয় মৌলবাদীর মৃত্যুর হুমকি পেয়ে গানম্যান পাওয়া প্রথম বাংলাদেশী প্লেয়ার হিসেবেও তিনি নিজের নামটি 'স্বর্ণাক্ষরে' লিখিয়ে নিলেন। অভিনন্দন সাকিব আল হাসান! অভিনন্দন বিসিবি ও বাংলাদেশ সরকার।
একটা বিষয় বুঝলাম না।
হত্যার হুমকি পেয়ে করজোড়ে মাফটাফ চাওয়ার পর গ্যানম্যান সাথে রাখা কেনো। তবে কি সাকিব ক্ষমা ভিক্ষা চাওয়ার পরও নিশ্চিত নন কল্লা থাকবে কী না? একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমান হিসেবে ক্ষমা চাওয়ার পর চাপাতি প্রদর্শন করা মুসলমান ভাইটির তো মাফ করে দেওয়ার কথা।মুসলমান হিসেবে আরেকজন মুসলমানের উপর বিশ্বাস রাখা সাকিবের কর্তব্য নয় কি?
দেশে বিদেশে সাকিবের যে জনপ্রিয়তা এবং স্বয়ং গণভবনের সাথে তার যে সেমাই-পায়েসের কানেকশান
তাতে ক্ষমা না চাইলে সাকিবের 'বালটা' ছেড়ার ক্ষমতা কারও নেই। তারপরও তিনি ক্ষমা চাইতে গেলেন কেনো?
সাকিবের সেই পূজার দাওয়াত কার্ডে যা লেখা ছিল!
সাকিবের ক্ষমা চাওয়ায় লজ্জা পেলাম
সাকিবের নিরাপত্তায় গানম্যান নিয়োগ
এই কেনোর উত্তর খুঁজতে গেলে দেখা যাবে, সাকিব আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী।
তো এরকম একজন পোটেনশিয়াল রাজনীতিবিদকে সবকূল রক্ষা করে চলতে হয়। ওপার বাংলার জনপ্রিয়তার হাতছানি রক্ষা করতে গিয়ে যেমন পূজা অনুষ্ঠানের ফিতা কাটতে হয়, তেমনি এপার বাংলার তৌহিদী জনতাকেও সন্তুষ্ট রাখতে হয়।
রাজনীতিটা যেহেতু এপার বাংলায় করতে হবে নৌকা প্রতীক নিয়ে। সুতরাং ৯২ পার্সেন্টকে অখুশি রাখা বিপদজনক। অনেকেই বলবেন সাকিবকে মৃত্যুর হুমকি দেওয়া চাপাতিওয়ালা ওই ইসলামিস্ট ভাইটি ৯২ পার্সেন্টকে রিপ্রেজেন্ট করে না।
তাহলে আমার প্রশ্ন, সাকিব ক্ষমা চাইলেন কেনো?
news24bd.tv কামরুল