আম্মা বেঁচে থাকলে খুব খুশি হতেন এই ভেবে যে এখন আর বাড়ি যেতে এত ঝক্কি ঝামেলা করতে হবে না।
আম্মা বেঁচে থাকতে তাকে নিয়ে বাড়ি যেতে পারি নি অনেক দিন। ৬/৭ বছর পর একবার যেতাম। বাস চালু হয়ে মাওয়া ফেরি করে যাওয়া হলেও তাকে নিয়ে যেতে পারি নাই দীর্ঘক্ষন বাসের মধ্যে থাকতে পারেন না বলে।
ট্রেনে চড়তে চান উনি। চট্টগ্রাম থেকে বাসে উঠলে পিরোজপুর যেতে যেতে পরদিন সকাল ৯ টা টাও যদি ফেরি ক্লিয়ার থাকে।তা না হলে দুপুর। আর বর্ষাকালে তো লঞ্চ ডুবিতে যে এই আগ্রাসী পদ্মা কত প্রান নিয়েছে তার হিসেব তো আর কেউ রাখেনি।
আরও পড়ুন:
আহা পদ্মা সেতু! এক সেতু নিয়ে কতো ঘটনা
করোনায় মারা গেলেন সংগীত প্রযোজক সেলিম খান
স্বপ্নের পদ্মা সেতুর শেষ স্প্যান বসছে আজ
করোনা: জাপানের পাঠাগারে ইউভি মেশিন, স্বস্তিতে পাঠক
ইরানের তেলখাতের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান রাশিয়ার
আজ বসছে পদ্মাসেতুর সব শেষ স্প্যান। এই পাড়ে দাঁড়িয়ে এই ৬ কিলোমিটার সেতু ধরে দেখা যাবে নদীর অপর পাড়।
আম্মা বেঁচে থাকলে খুব খুশি হতেন এই ভেবে যে এখন আর বাড়ি যেতে এত ঝক্কি ঝামেলা করতে হবে না। এই একটা সেতু বদলে দিতে যাচ্ছে সব হিসেব নিকেশ। আম্মা মারা যাবার পর অনেকেই বলেছিলো বাড়িতে কবর দিতে। দেই নি কারণ যে কবরটা নিজের ঘরেই দিতে মনে চেয়েছিলো, নিজের কাছে রেখে দিতে মনে চেয়েছিলো, বছর দুই বছর বাদে একবার সেই কবর দেখে যে মন ভরবে না।
সেতুর কাজ নিয়ে নানান কথা থাকবে, পক্ষে বিপক্ষে, ত্রুটি থাকবে, আলোচনা সমালোচনা থাকবে। তবে সব কিছু ছাপিয়ে এই সেতু নদীর অপর প্রান্তের ২১জেলার মানুষগুলোর মনে যে আনন্দ দিচ্ছে তা কেউ দেখছেনা। এই সেতুর উপর দিয়ে ট্রেনে চেপে বাড়ি যাবো প্রিয়মুখ গুলোর সাথে আরো বেশি সময় কাটাবো সেই অপেক্ষায় থাকলাম........
এফ. এম. মিজানুর শিপন, সাংবাদিক
news24bd.tv নাজিম