পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুলতানের এক নারী ও তার স্বামী এক আজব ঘটনা ঘটিয়েছেন। বিয়ের পর ওই নারী তার অতি প্রিয় চাচাতো বোনকে চোখের আড়াল করে থাকতে পারছিলেন না।
তাই নিলেন এক চমকানো সিদ্ধান্ত যা মানতে পারছে না সমাজ ও উভয়ের পরিবার।
পাকিস্তানের দুনিয়া নিউজ টিভি জানায়, ছোটবেলা থেকে তার সুখ-দুঃখের সাথী ছিলেন চাচাতো বোন।
আরও পড়ুন: সুড়ঙ্গ বানিয়ে পরকীয়া, স্বামীর হাতে ধরা স্ত্রী
সিরিয়ায় বাসে হামলা: নিহত বেড়ে ৩৭
তাই নিজের স্বামীর সঙ্গে ওই চাচাতো বোনকে বিয়ে দিয়ে দিলেন তিনি। কিন্তু বিধিবাম- তাদের এই কাজে খেঁপেছে উভয়েরি পরিবার ও স্থানীয়রা।
পাঞ্জাব প্রদেশের মুলতানের সামিজাবাদ এলাকার ফারাজ নামে এক টিনএজার মাস দেড়েক আগে বিয়ে করেন আলিনা নামের এক তরুণীকে। এরপর নববধূ আলিনা তার চাচাতো বোন আলিস্মাকেও কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বিয়ে দেন নিজের স্বামীর সঙ্গে।
এদিকে দুই বোনের স্বামী ফারাজ জানান, তার স্ত্রীদের স্বজনরা তাকে খুঁজছে এবং হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে। এরই মধ্যে আলিনা এবং আলিস্মার পরিবার তারা দুজনসহ তাদের স্বামীর নামে মামলা করেছে।
এ ঘটনার পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আলিনা বলেন, ‘নিজের চাচাতো বোনকে না দেখে থাকতে পারছিলেন না। তাই তাকে সবসময় কাছে রাখার জন্য স্বামীর সঙ্গে চাচাতো বোনকে বিয়ে দিয়েছেন। তার বোন আলিস্মাও একই দাবি করেন।
আলিনা আরও জানান, ছোটবেলা থেকে দুবোন মানিকজোড়ের মতো বেড়ে উঠেছেন। জীবনে যা কিছু দুবোন এক সঙ্গে করেছেন। তাই বোনের স্মৃতি তাকে অস্থির করে তোলে। এরপর আলিস্মাকে তার সতীন বানানোর সিদ্ধান্ত নেন।
অন্যদিকে আলিস্মা জানান, বোনকে ছাড়া তারও দিন কাটছিলো না। অবস্থা এমন হয় যে আলাদা হয়ে দুজনের পক্ষে বেঁচে থাকা অসম্ভাব প্রায়। তাই তার সম্মতিতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
news24bd.tv তৌহিদ
