প্রথমে শ্যালিকাকে শ্বাসরোধে পরে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা

প্রথমে শ্যালিকাকে শ্বাসরোধে পরে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা

অনলাইন ডেস্ক

রাজধানীর মগবাজার এলাকার বাসিন্দা রনি মিয়া। পেশায় রিকশা চালক। মাদকাসক্ত এবং পেশাদার জুয়াড়ি হওয়ার কারণে চার মাস আগে স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তারের সঙ্গে তার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। তারপর থেকেই তারা আলাদা হয়ে যান।

 

গত ১ জানুয়ারি নাখালপাড়ার একটি বাসায় ওঠেন ইয়াসমিন ও তার ছোট বোন শিমু। পরে, সাবেক স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তারকে ফিরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দিতে ওই বাসায় যান রনি। তখন ইয়াসমিন বাসায় ছিল না। পরে শ্যালিকা শিমু আক্তারের সঙ্গে এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়।

এক পর্যায়ে শিমুর গলা চেপে ধরলে শ্বাসরোধে তার মৃত্যু হয়। লাশ বিছানায় চাদর দিয়ে ঢেকে দেওয়ার সময় ইয়াসমিন বাসায় এসে ঘটনা দেখে ফেলে। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডা শুরু হলে ঘরে থাকা দা দিয়ে ইয়াসমিনকে কুপিয়ে হত্যা করে রনি মিয়া।

দুই বোনকে হত্যার ঘটনায় রোববার (১০ জানুয়ারি) রনিকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন: প্রেমিকাকে ‘মেরে’ সেফটিক ট্যাংকে ফেলে কংক্রিটের ঢালাই

মৃত কিশোরীদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক, এ কেমন আচরণ

ছেলের বউকে সুযোগ পেলেই ধর্ষণ করত ৭০ বছরের শ্বশুর

রনি বলেন, স্ত্রীকে বাসায় না পেয়ে তাকে বুঝিয়ে বলার জন্য শিমুকে অনুরোধ করেন তিনি। এ সময় তার বোনের সিদ্ধান্ত ঠিক, তার সংসারে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শিমুর গলা টিপে ধরে শ্বাসরোধে হত্যা করেন তিনি। পরে ইয়াসমিন বাসায় ফিরলে তাকে কুপিয়ে হত্যা করেন।  

নিহত ইয়াসমিন পোশাককর্মী আর শিমু সম্প্রতি নাবিস্কো এলাকায় একটি প্রতিষ্ঠানে কাজে যোগ দিয়েছিলেন। তাদের বাড়ি নরসিংদীতে। রনির বাড়ি জামালপুরে।   

স্থানীয়রা জানান, ঘটনার দিন দুপুর ১টার দিকে পূর্ব নাখালপাড়ার ২৫৩/৩ নম্বর ভবনের তৃতীয় তলায় একটি কক্ষে রনি তার স্ত্রীকে দা দিয়ে কোপানোর সময় আশপাশের লোকজন জানালা দিয়ে দেখতে পান। পরে আশপাশের লোকজন সেখানে জড়ো হলে রনি ভেতর দিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন। দরজা ভেঙে কক্ষে প্রবেশ করেন আশপাশের লোকজন। ঘরে ঢুকে তারা দুই নারীর নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন।

news24bd.tv তৌহিদ