জার্মানিতে কোয়ারান্টিনের নিয়ম না মানা ব্যক্তিদের কারাগারে রাখা হয়। ঐ কারাগারের নাম হলো 'কোভিড কারাগার'। এ পর্যন্ত কম সংখ্যক ব্যক্তিকে ঐ কারাগারে রাখা হলেও এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে।
সম্প্রতি উত্তর জার্মানির শ্লেসভিগ-হলস্টাইন রাজ্যের ছোট শহর নয়ম্যুনস্টারের কিশোর সংশোধনাগারের অব্যবহৃত একটি এনেক্স ভবনের ছয়টি ঘরকে ‘কোভিড কারাগারে' পরিণত করা হয়।
তবে এটি গতানুগতিক কোন জেল নয়। ‘বন্দিদের' টিভি দেখতে দেয়া হবে। তারা ল্যাপটপ, ফোন ও বাসায় থাকার যত সুবিধা আছে, সব পাবেন। শুধু তাদের নিরাপত্তাপ্রহরীদের কথা শুনতে হবে।
কোয়ারান্টিনের নিয়ম ভাঙা কাউকে কারাগারে পাঠালে হলে অবশ্যই আদালতের নির্দেশনা লাগবে। কোন ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠাতে হলে তিনি যে নিয়মিত কোয়ারান্টিনের নিয়ম ভাঙ্গছেন তার প্রমাণ লাগবে।
এঘটনা প্রমাণিত হলে পুলিশ প্রথমে গিয়ে তাকে জরিমানা করবেন। এরপর আদালতের কাছে বিচার দাবি করলে পরেই বিচারের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো যাবে।
তাজউদ্দীন আহমদের চরিত্রে দেখা যাবে ফেরদৌসকে
চসিক নির্বাচনকে সুষ্ঠু মানতে নারাজ বিশ্লেষকরা
সালমান খান ও জ্যাকুলিনের ঘনিষ্ঠ ভিডিও ভাইরাল (ভিডিও)
তাইওয়ানের কাছে সামরিক মহড়া, হুঁশিয়ারি বার্তা বলছে চীন
গত বছরের মে থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত জার্মানির ব্রান্ডেনবুর্গ রাজ্যে দুশর বেশি মানুষকে কোয়ারান্টিনের নিয়ম না মানার জন্য বিচার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ত্রিশজনেরও কম ব্যক্তিকে কোভিড কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
২০২০ সালে হেসে রাজ্যের প্রশাসন একটি হোটেলকে কারাগার করার জন্য ঠিক করেছিল। কিন্তু, চাহিদা না থাকায় সেটি বন্ধ হয়ে যায়।
অন্যদিকে, সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বেশি থাকা সাক্সোনি রাজ্যের প্রশাসন ড্রেসডেনে এ মাসেই একটি কোভিড কারাগার চালু করছে।
স্থানীয় প্রশাসনের এমন কারাগার নির্মাণের ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। অনেকেই বলছেন এটি মানবাধিকারের চুড়ান্ত লঙ্ঘণ।
সূত্র: ডয়েচে ভেলে
news24bd.tv আয়শা