চসিক নির্বাচনকে সুষ্ঠু মানতে নারাজ বিশ্লেষকরা

চসিক নির্বাচনকে সুষ্ঠু মানতে নারাজ বিশ্লেষকরা

Other

চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনকে পুরোপুরি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য মানতে নারাজ নির্বাচন বিশ্লেষকরা। একইসঙ্গে-নির্বাচনী সহিংসতার দায় নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিতে হবে বলেও মত তাদের। নির্বাচনের আগের শঙ্কা এবং ভোটের দিনের পরিবেশের কারণেই ভোটগ্রহণ কম হয়েছে বলেও জানিয়েছেন দুই নির্বাচন বিশ্লেষক।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটের আগে থেকেই শঙ্কা ছিল সংঘর্ষ-সহিংসতার।

বিশেষ করে-বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধের কারণেই ছিল উদ্বেগ। কিন্তু বুধবার সকালে বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটারদের এমন লম্বা লাইন আশা জাগাচ্ছিল। শুরুটা ভাল হলেও-বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি নির্বিঘ্ন পরিবেশ।

ভোট শুরু হতে না হতেই বিভিন্ন কেন্দ্রে শুরু হয় ভোটার-সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ-রক্তপাত।

আইন শৃংখলা বাহিনীর চোঁখের সামনেই চলে এসব সহিংসতা। ফলাফল-২৭ বছরের ইতিহাসে চট্টগ্রামে ভোটের দিন ঘটে নিহতের ঘটনা। মারা যায় দুই জন। বিভিন্ন জায়গায় সহিংসতায় সংবাদকর্মীসহ আহত অর্ধ-শতাধিক।

সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন জানান, যে সব কেন্দ্রে সহিংসতা হয়েছে সেগুলো কিন্তু বন্ধ করা হয়নি। তাই নির্বাচন যে সুষ্ঠু হয়েছে সেটি বলা যায় না।

এবারই প্রথম চট্টগ্রাম সিটি ৭৩৫ কেন্দ্রের সবগুলোতে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয় ভোটগ্রহণ। সকালের দিকে দীর্ঘ লাইন থাকলেও-দুপুরের দিকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে কমতে থাকে ভোটার উপস্থিতি। যাতে সন্তুষ্ট হতে পারেননি স্বয়ং নির্বাচন কর্মকর্তারাই। এর কারণ হিসেবে - ভোটের আগে পরের সার্বিক পরিবেশকেই দায়ি করছেন নির্বাচন বিশ্লেষকরা।

সুশাসনের জন্য নাগরিকের সম্পাদক বদিউল আলম চৌধুরী বলছেন, নির্বাচন কর্মকর্তারা বলছেন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। তাদের অবশ্য চোখ কান খোলা রাখা দরকার। তাদেরই সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে।

আরও পড়ুন:


সালমান খান ও জ্যাকুলিনের ঘনিষ্ঠ ভিডিও ভাইরাল (ভিডিও)

তাইওয়ানের কাছে সামরিক মহড়া, হুঁশিয়ারি বার্তা বলছে চীন

নির্মাণাধীন মসজিদ গুড়িয়ে দিল ইসরাইলি বাহিনী

বড় বোনকে বিয়ে করতে না পেরে ছোট বোনকে ধর্ষণ


আর এম সাখাওয়াত হোসেন বলছেন, ভোটাররা ভোট দিতে উচ্ছুক নয় একটাই কারণ নির্বাচনে সহিংসতা হবে। বেশকিছু জায়গায় নারী ভোটার নেই। তারা বলছে, নির্বাচনে মারামারি হবে তাই ভোট দিতে যাবো না। এর দায় নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এড়াতে পারেন না।

 
দেশব্যাপী চলমান পৌরসভা নির্বাচন কিছুটা আশা জাগালেও-চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে আবারও সহিংসতার বাস্তবতায় হতাশ নির্বাচন পর্যবেক্ষরা। যা দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা কিংবা গণতন্ত্রের জন্য সুখকর নয় বলে আবারও সতর্ক করেন তারা।

news24bd.tv আহমেদ