পরকীয়ার সমস্যায় জর্জরিত জীবন। ‘শ্যাম রাখি না কুল’ এর মতো স্ত্রী না বান্ধবী, কাকে ছেড়ে কার আঁচল ধরে রাখবেন, কিছুতেই বুঝতে পারছেন না। আবার দু’জনের দ্বন্দ্বও মেটাতে পারছেন না। তবে, এই সহজ সমাধানের মাধ্যমে মিটিয়ে ফেলুন দ্বন্দ্ব।
সপ্তাহের তিন দিন কাটান ‘বেটার হাফ’ অর্থাৎ স্ত্রীর সঙ্গে আর তিন দিন ‘গার্লফ্রেন্ড’ এর সঙ্গে। আর মাঝের একদিন বিশ্রাম অর্থাৎ ছুটি নিতে পারেন!এই অভিনব সমাধানই ভারতের রাঁচির কোকার তিরিল রোডের বাসিন্দা রাজেশ মাহাতোকে দিয়েছিল ঝাড়খণ্ড পুলিশ।
রাজেশসহ বাকি দু’পক্ষ তা মেনেও নিয়েছিল। যার জন্য কিছুদিনের জন্য দ্বন্দ্ব ধামাচাপা পড়লেও আগুন পুরোপুরি নেভেনি।
পরে, রাজেশের প্রেমিকা তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করেছেন। ফলে রাজেশের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। এরপর থেকেই তিনি পলাতক।
আরও পড়ুন:
স্বামীকে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে পরকীয়া, প্রেমিক ধরা
পরকীয়া প্রেমিকের হারিয়ে যাওয়া ফোনে স্বামী হত্যার রহস্য ফাঁস
পরকীয়া প্রেমিকাসহ ধরা যুবদল নেতা
পরকীয়া প্রেম: রাতভর আটকে রেখে গৃহবধূকে গণধর্ষণ
ঘটনার শুরু যেখানে:
বিবাহিত এবং সন্তানের পিতা হওয়া সত্ত্বেও, এক তরুণীর প্রেমে পড়েন রাজেশ। পুরো বিষয়টি গোপন রেখে জড়ান পরকীয়া সম্পর্কে। এর কয়েকদিন পরই প্রেমিকাকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান তিনি। উপায় না দেখে তার স্ত্রী পুলিশের দ্বারস্থ হন। থানায় গিয়ে স্বামীর নামে অভিযোগ দেন।
ওদিকে, তরুণীর পরিবারও পাল্টা রাজেশের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে। ঝাড়খণ্ড পুলিশ তখন রাজেশের খোঁজ শুরু করে। সন্ধান পাওয়ার পর জানা যায়, প্রেমিকাকে ইতোমধ্যেই বিয়ে করেছেন রাজেশ।
এরপর আবার থানায় আসেন দু’পক্ষ। রাজেশকে মাঝখানে রেখে শুরু হয় আলোচনা। কিন্তু দু’পক্ষকে কোনভাবেই শান্ত করতে পারছিল না পুলিশ। পরে বের করা হয় এই অভিনব সমাধান।
ঝাড়খণ্ড পুলিশ রাজেশকে পরামর্শ দেয়, সপ্তাহের প্রথম তিন দিন স্ত্রীর সঙ্গে কাটাতে, আর বাকি তিন দিন প্রেমিকার সঙ্গে কাটাতে। মাঝের এক দিন তিনি ‘ছুটি’ নিতে পারেন।
প্রথমে দু’পক্ষ এই প্রস্তাব মেনেও নেয়। তারা ‘অফিসিয়ালি’ ‘ডিল’ সই করে। দু’পক্ষকেই এই সংক্রান্ত নথির ‘কপি’ও দিয়ে দেওয়া হয়। যদিও কয়েক দিন পরই পুরো ঘটনার সুর কেটে যায়। কারণ রাজেশের প্রেমিকা ফের তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে থানায়। এরপর থেকেই তিনি পলাতক।
news24bd.tv তৌহিদ