একজন প্রবাস বান্ধব কর্মকর্তার প্রতিকৃতি ড. মুস্তাফিজ

একজন প্রবাস বান্ধব কর্মকর্তার প্রতিকৃতি ড. মুস্তাফিজ

Other

বিশ্বের সবচেয়ে অন্যতম ধনী দেশ কাতার। দেশটিতে বর্তমানে স্থানীয় কাতারিসহ প্রায় ২৮ লক্ষ অভিবাসী বসবাস করছে যার মধ্যে বাংলাদেশীদের সংখ্যা ৪ লক্ষের অধিক। এই ৪ লক্ষ প্রবাসীদের কল্যাণে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন দূতাবাসের কাউন্সেলর ড. মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান।

যার জীবন গল্পে আত্মঅহমিকার লেশমাত্রা নেই।

বিনয়ী, মৃদুভাষী, সততা, কর্তব্যনিষ্ঠা ও আদর্শিক দৃঢ়তা আর বিচক্ষণতার মধ্য দিয়েই তিনি সকল মহলে পরিচিতি লাভ করেন। হয়ে উঠেন একজন পরোপকারী আদর্শিক মানুষ। ২০১৯ এর জানুয়ারি থেকে কাতারস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে শ্রম কাউন্সিলর হিসেবে যোগদানের পর থেকে তিনি কাতার প্রবাসীদের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।  

এরই ধারাবাহিকতায় প্রথমেই যে কাজটি হাতে নিয়েছিলেন তা হলো কাতারে যে সমস্ত কর্মী দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন তাদের আর্থিক ক্ষতিপুরণ প্রাপ্তির সুযোগকে আরও সহজ করে তুলতে নানান ভূমিকা রেখেছেন।

জেলখানায় আটক কয়েদীদের বই পড়ার ব্যাবস্থা করে দিয়েছেন।

news24bd.tv

করোনাকালীন সময়ে অনেক কর্মীকে জেল থেকে মুক্ত করে পুনরায় কাতারে কাজ করা সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন। অনিচ্ছাকৃত হত্যার দায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত একজন আসামির প্রাণরক্ষা করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এছাড়া নারী কর্মীদের সচেতন করতে নানা রকম ব্যাবস্থা গ্রহণ করেন। কাউন্সিলর ড. মুস্তাফিজ রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি সরকার তথা দূতাবাসের সঙ্গে স্টেকহোল্ডারদের সুসম্পর্ক তৈরি করেছেন।  

কাতারের যে সমস্ত এলাকায় মানি এক্সচেঞ্জ হাউজের ব্রাঞ্চ ছিলনা সে সমস্ত এলাকায় ব্রাঞ্চ স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুরোধ ও উৎসাহিত করা হয়েছে। এতে ওইসব এলাকাতে কর্মীদের বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠানোর সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।  


নিখোঁজের ২৭ দিন পর সেপটিক ট্যাংকে মিলল শিশুর মরদেহ

বেরোবির ভিসির কোটি কোটি টাকা লুটপাটের ঘটনার ১১১ অভিযোগ

প্রাইভেট হাসপাতালের মালিকের বিরুদ্ধে আয়া ধর্ষণের অভিযোগ

সুনামগঞ্জে খাস জমি দখল নিয়ে দু'পক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ১


এছাড়াও করোনাকালীন সময়ে কাতারের দূর্গম মরু প্রান্তে গিয়ে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়া, অসুস্থকর্মীদের খোঁজ খবর নেওয়া এবং করোনাকালীন চাকরি হারানো কর্মীদের পুনরায় কর্মে নিয়োগের ব্যবস্থা করাসহ, প্রবাসীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে নিয়মিত কাতার সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রাখেন। এক কথায় দূতাবাসের সেবার মান অন্যান্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব মো. জসীম উদ্দিন এনডিসি এর সার্বিক দিক নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে তিনি নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।  

বাংলাদেশী কমিউনিটির অনেকে তার এই সকল কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন। ড. মুস্তাফিজ বাংলাদেশী অভিবাসীদের কল্যাণে তার কার্যক্রমগুলোতে উৎসাহ ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতার জন্য বিদায়ী ও বর্তমান মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব আসুদ আহমদ ও জনাব মো. জসীম উদ্দিনে এনডিসি সহ দূতাবাসে কর্মরত সকল কর্মকর্তা/কর্মচারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

news24bd.tv
 
বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা এবং দেশে ফেরানোর ক্ষেত্রে অনবদ্য অবদান রাখায় কাতার দোহাস্ত রুমাইলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ড. মোস্তাফিজুর রহমানকে প্রশংসাসূচক সনদপত্র এবং ক্রেস্ট প্রদান করেন। পাশাপাশি দূতাবাসকে দেয়া হয় ক্রেস্ট সম্মাননা। বাংলাদেশ দূতাবাসের ইতিহাসে এই ক্রেস্ট প্রাপ্তি এবারই প্রথম।  

news24bd.tv / কামরুল