হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদীর সঠিক সন্ধান এবং কেন্দ্রীয় সহ-অর্থসম্পাদক মুফতি ইলিয়াস হামিদিসহ গ্রেপ্তার নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি চেয়েছেন দলের মহাসচিব আল্লামা নুরুল ইসলাম জিহাদি।
সোমবার (১২ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মুক্তির দাবি জানান তিনি।
বিবৃতেতে হেফাজত মহাসচিব বলেন, রোববার হাটহাজারীতে অনুষ্ঠিত হেফাজতে ইসলামের বৈঠক শেষে ঢাকায় ফেরার পথে নারায়ণগঞ্জের মদনপুর থেকে হেফাজতের কেন্দ্রীয় সহঅর্থসম্পাদক ও ঢাকা মহানগরের সহসভাপতি মুফতি ইলিয়াস হামিদিকে আটক করেছে র্যা ব। এবং একই বৈঠক থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে আশ্চর্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়েছেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী।
তিনি বলেন, গতরাত থেকে এখন পর্যন্ত তার কোনো খবর পায়নি পরিবার। তার মোবাইল-ফোন এবং তার সঙ্গে থাকা ব্যক্তির মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকেও তাকে গ্রেফতারের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। মাওলানা ইসলামাবাদী কি গ্রেপ্তার হয়েছেন নাকি তাকে গুম করা হয়েছে তা নিয়ে আমরা চিন্তিত।
হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে হেফাজত নেতৃবৃন্দকে এভাবে গ্রেপ্তার ও গুম করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার হওয়া সব নেতৃবৃন্দকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে বলে বিবৃতিতে তিনি দাবি করেন।
আল্লামা নুরুল ইসলাম বলেন, আসন্ন পবিত্র রমজান মাস। রহমত, বরকত ও নাজাতের মাস। এ মাস সামনে রেখে ওলামায়ে কেরামকে গ্রেপ্তার ও হয়রানি কোনোভাবে সহ্য করা যায় না। দেশের তৌহিদি জনতা এসব সহ্য করবে না। নিরীহ নিরস্ত্র মানুষের ওপর হামলা মামলা বন্ধ না হলে দেশের সর্বস্তরের জনগণ এই জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বাধ্য হবে।
তিনি বলেন, একজন নাগরিকের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্র, সরকার ও প্রশাসনের দায়িত্ব। রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা পাওয়া একজন নাগরিকের নৈতিক অধিকার। প্রায় ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে মাওলানা ইসলামাবাদী নিখোঁজ থাকার ঘটনা রাষ্ট্র কর্তৃক একজন নাগরিকের নিরাপত্তা অধিকারকে চরমভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
হেফাজতের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী নিখোঁজের দায়ভার রাষ্ট্র, সরকার ও প্রশাসনকেই নিতে হবে।
একদিনে হেফাজতের ৪ নেতা আটক
বোনকে খুঁজে না পেয়ে ভাইয়ের জিডি, বলছেন তার বোনকেও বিয়ে করেছেন মাওলানা মামুনুল
সূরা তাওবার শেষ দুই আয়াতের ফজিলত
সক্রেটিস আইন মেনে মরলেন, রফিকুল আইন মানেন না
তিনি বলেন, আমার জানা মতে মুফতি ইলিয়াস হামিদির নামে কোনো মামলা নেই। রাষ্ট্র কিংবা সরকারবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও তিনি জড়িত নন। এর পরও যাতায়াত পথে গাড়ি আটকে তাকে কেন গ্রেপ্তার করা হলো? কী অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হলো তা অবশ্যই আমাদের জানাতে হবে। সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ ছাড়া এভাবে রাস্তাঘাটে আটক করে পরে সাজানো মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলে তা মেনে নেওয়া হবে না।
আল্লামা নুরুল ইসলাম জিহাদি বলেন, হেফাজতে ইসলাম একটি সুশৃঙ্খল দল। হেফাজতের সব আন্দোলন শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল। হেফাজতে ইসলামের কোনো নেতাকর্মী হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নয়। ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ইত্যাদির দায়ভার হেফাজতের ওপর দিয়ে নেতৃবৃন্দের নামে মিথ্যা আর হয়রানি বরদাশত করা হবে না।
রাতে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর এভাবে হয়রানি ও মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হলে আমরা নিশ্চুপ বসে থাকব না। এভাবে চলতে থাকলে পরামর্শক্রমে হেফাজতে ইসলাম কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বাধ্য হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
news24bd.tv নাজিম
মন্তব্য