করোনা আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অনেকটা স্থিতিশীল থাকলেও এখনও কারও সাহায্য ছাড়া তিনি হাঁটতে পারছেন না। খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক দলের অন্যতম সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন শনিবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শক্রমে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছে। চিকিৎসকেরাও তাকে নিয়মিত দেখেছেন।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অনেকটা স্থিতিশীল। যদিও ওনার পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। আজও ডাক্তাররা তাকে দেখেছেন। কালও কিছু পরীক্ষা হবে।সব পরীক্ষা শেষ হতে আরও দুই থেকে তিন দিন লাগতে পারে জানিয়ে জাহিদ হোসেন বলেন, এখন পর্যন্ত প্রয়োজনীয় পরীক্ষা চলছে। পরবর্তী সময়ে চিকিৎসকেরা যখন যাওয়ার জন্য বলবেন, তখন তিনি বাসায় ফিরবেন।
ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন আরও বলেন, নতুন কিছু বলার মতো অবস্থায় নেই। এখনো তিনি (খালেদা জিয়া) নিজে নিজে হাঁটতে পারেন না। হাঁটতে হলে তার কারও না কারও সহযোগিতা লাগছে। ব্যক্তিগত দৈনন্দিন কাজেও তার সাহায্যের প্রয়োজন হচ্ছে। হাসপাতালে ভর্তির পর গঠিত মেডিকেল বোর্ড প্রতিদিন খালেদা জিয়ার আপডেট নিচ্ছে, নতুন কিছু করতে বলছেন। সেভাবেই হাসপাতালে তার চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বিএনপি গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার কথা জানায়। ২৫ এপ্রিল দ্বিতীয়বার খালেদা জিয়ার করোনা পরীক্ষার নমুনা জমা দেওয়ার পর আবারও পজিটিভ আসে। বর্তমানে তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। সেই মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শেই এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে।
দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের দণ্ড নিয়ে দুইবছরের বেশি সময় কারাভোগ করেন তিনি। অসুস্থতা ও করোনা বেড়ে যাওয়ায় পরিবারের আবেদনে মানবিক বিবেচনায় দুই শর্তে সরকার নির্দিষ্ট মেয়াদে তার সাজা স্থগিত করে গত বছরের ২৫ মার্চ মুক্তি দেয় বিএনপি চেয়ারপারসনকে। সেই সাজা স্থগিতাদেশের মেয়াদ সর্বমোট তিনদফা বাড়ানো হয় সরকারের নির্বাহী আদেশে।
news24bd.tv/আলী