অবাদে নদী পারাপার হচ্ছে ব্যক্তিগত যানবাহন
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে

অবাদে নদী পারাপার হচ্ছে ব্যক্তিগত যানবাহন

Other

করোনা সংক্রোমণ রোধে কঠোর লকডাউন চলমান। সরকারি নির্দেশনা মতে পণ্যবাহী ট্রাক ও এ্যাম্বুলেন্স চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এ সকল যানবাহনের বাইরে সকল প্রকার যানবাহন নদী পারাপার বন্ধ। তবে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে অবাদে ফেরি পারাপার হচ্ছে ব্যক্তিগত যানবাহন।

ফেরিতে পারাপার হচ্ছে সাধারণ যাত্রী। গত দুইদিন দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে সরেজমিন গিয়ে এমনি চিত্র দেখা যায়।  

শুক্রবার দুপুরে দৌলতদিয়া বিআইডব্লিউটিসি’র অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় দৌলতদিয়া ঘাট থেকে পণ্যবাহী ট্রাক ফেরি পার হয়েছে ১০৫৬। ব্যক্তিগত গাড়ি প্রাইভেটকার ও মাক্রোবাস নদী পার হয়েছে ১১৬৪।

 

সেই হিসেবে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট ব্যবহার করে গত ২৪ ঘণ্টায় পণ্যবাহী ট্রাক নদী পারাপার হয়েছে ২ হাজার ১১২টি। প্রাইভেটকার-মাক্রোবাস দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট ব্যবহার করে গত ২৪ ঘণ্টায় নদী পারাপার হয়েছে ২ হাজার ৩২৮টি।  

এ সময় অনেক যাত্রী ফেরি পারাপার হতে দেখা যায়। অনেক ব্যক্তিগত গাড়ি বিভিন্ন প্রকার স্টিকার লাগানো রয়েছে। গাড়িতে থাকা অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায়, ভাড়া এসেছে এসব গাড়িগুলো।   

দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট এলাকা ঘুরে ও সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দৌলতদিয়া পারে ৪, ৫, ৬ ও ৭নং ফেরি ঘাট স্বাভাবিক রয়েছে। ১, ২ ও ৩নং ফেরি ঘাট অকেজো হয়ে পরে আছে। এই নৌরুটে বর্তমান রোরো (বড়) ৯টি, ইউটিলিটি (ছোট) ৭টি এবং ১টি কে-টাইপ ফেরি সহ মোট ফেি রয়েছে ১৭টি।  

যার মধ্যে যানবাহন কম থাকার কারণে মাত্র ১৭টি ফেরি পর্যায়ক্রমে চলাচল করছে। স্বার্বক্ষনিক ৭টি ফেরি চলাচল করছে। এ সময় অনেক চালক অভিযোগ করে বলেন, অতিরিক্ত টাকা ব্যয় করে ফেরি পারের টিকিট নিতে হয়।  

প্রাইভেটকারের ভিতর বসে থাকা জসিম নামের এক ব্যক্তি সাথে কথা বললে তিনি বলেন, জরুরি কাজ তাই যেতে হচ্ছে। মহাসড়কে গণপরিবহন না থাকায় বাধ্য হয়ে প্রাইভেটকার ভাড়ায় নিয়ে এসেছি। এতে আমার অতিরিক্ত টাকা ব্যয় হয়েছে।  

এ সময় পাশে বসে থাকা প্রাইভেটকারের চালক বলেন, ঢাকার শহরে বসে থাকলে চলবে কিভাবে। ঘর ভাড়া, বিদুৎ বিল, পানি বিল সহ নানা প্রকার ব্যয়। এ সকল টাকা আমরা দেবো কোথায় থেকে। যে কারণে বাধ্য হয়ে এসেছি।
 
আব্দুর রহিম নামের এক ব্যক্তি বলেন, যশোর থেকে ঢাকায় যাচ্ছি। মহাসড়কে একাধিক জায়গায় পুলিশ ধরেছে। বলে-কয়ে এসেছি। তবে দৌলতদিয়া ঘাটে এসে সহজে ফেরি’র টিকিট পেয়েছি। ঘাটে কোন প্রকার সমস্যা নেই। তবে একটু টাকা বেশি।  

সামিয়া রহমান নামে এক নারী বলেন, স্বামী-সন্তান ঢাকায় রয়েছে। যে কারণে আমাকে ঢাকায় যেতে হচ্ছে। তিনি বলেন, মহাসড়কে একাধিকবার সমস্যা হয়েছে। ফেরি ঘাটে কোন সমস্যা হয়নি। জানিনা ওপারে কি হয়।  

এ সময় ইউনুছ নামের এক অটো রিক্সা চালক বলেন, মহাসড়কে শতশত ব্যক্তি গত গাড়ি প্রাইভেটকা-মাক্রোবাস চলছে পুলিশ বাধা দিচ্ছে না। আমরা রাস্তায় বের হয়ে পুলিশ মামলা-জরিমানা করছে। কিন্ত পুলিশের চোখের সামনে শতশত ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করছে।  

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো.সিহাব উদ্দিন জানান, যানবাহন কম থাকার কারণে ১৭টি ফেরি পর্যায়ক্রমে চালানো হচ্ছে। তবে আগামী ঈদের জন্য ফেরি ঘাট পস্তুত রয়েছে।  

ব্যক্তিগত যানবাহন গুলো নদী পারাপার হচ্ছে কিভাবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, পণ্যবাহী ট্রাকের পাশাপাশি কিছু ব্যক্তিগত গাড়িও নদী পারাপার হচ্ছে। তবে যাত্রী তেমন নদী পার হচ্ছে না।  

আরও পড়ুনঃ


মাদারীপুরে দেয়াল চাপায় নির্মাণ শ্রমিক নিহত

করোনায় ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর খবর শুনে বড় ভাইয়ের মৃত্যু

বগুড়ার শেরপুরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শ্বশুর নিহত

তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত


news24bd.tv / কামরুল