অপরাধ প্রমাণ হলে যে সাজা হতে পারে ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়ার

অপরাধ প্রমাণ হলে যে সাজা হতে পারে ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়ার

অনলাইন ডেস্ক

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জকে অগ্রিম টাকা প্ররিশোধের পরেও পণ্য ডেলিভারি না দেওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেছে প্রতারণার শিকার এক গ্রাহক। মো. তাহেরুল ইসলাম নামে ওই গ্রাহক শুলশান থানায় মামলাটি করেন। থানায় উপস্থিত থেকে তার সঙ্গে সাক্ষ্য দিয়েছেন প্রতারণার শিকার আরও ৩৭ জন। মামলায় ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের মোট ১১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।

এদিকে মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবুবকর সিদ্দিকের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমান। এরপর আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করেন তারা। শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলায় অর্থ আত্মসাৎকারী হিসেবে যেসব আসামির নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা হলেন - মাসুকুর রহমান, আমানউল্ল্যাহ, বিথী আক্তার, কাউসার আহমেদ, সোনিয়া মেহজাবিনসহ ই-অরেঞ্জের সব মালিক।

মামলার এজাহারে উল্লেখিত আসামিদের প্রত্যেককেই ই-অরেঞ্জের মালিক বলে দাবি করা হয়েছে। মামলায় ফৌজদারি কার্যবিধি ৪২০ ও ৪০৬ ধারা উল্লেখ করা হয়েছে।

৪০৬ ধারায় ‘বিশ্বাসঘাতকতা’র অপরাধে সর্বোচ্চ ৩ বছর জেল, অর্থ জরিমানা ও উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। আর প্রতারণার ৪২০ ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি ৭ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

তাই বলা হয় যদি অপরাধ প্রমাণিত হয় তাহলে ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিনসহ অন্যান্য মালিকদের ৩ বছর অথবা ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন।

আরও পড়ুন:


আফগান ইস্যুতে কানাডা সরকারের অবস্থান স্পষ্ট

ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া স্বামীসহ কারাগারে

‘আফগানিস্তানে থাকা হিন্দু ও শিখদের আশ্রয় দেবে ভারত’

রাজশাহীতে করোনা ও উপসর্গে ৯ জনের মৃত্যু


মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২১ এপ্রিল পণ্য কেনার জন্য ই-অরেঞ্জে অগ্রিম টাকা দেন। তবে ই-অরেঞ্জ নির্ধারিত তারিখে পণ্য সরবরাহ করেনি। টাকাও ফেরত দেয়নি। নিজেদের ফেসবুক পেজে বার বার নোটিশ দিয়েছে এবং সময় চেয়েছে। কিন্তু ই-অরেঞ্জ পণ্য ও টাকা দেয়নি।

মামলায় বাদী আরও বলেন, সর্বশেষ তারা গুলশান-১ এর ১৩৬/১৩৭ নম্বর রোডের ৫/এ নম্বর ভবনে অবস্থিত ই-অরেঞ্জের অফিস থেকে পণ্য ডেলিভারির কথা বললেও তারা ডেলিভারি দেয়নি। এ ছাড়াও তারা যে বিভিন্ন আউটলেটের গিফট ভাউচার বিক্রি করেছিল, সেগুলোর টাকা আটকে রাখায় আউটলেটগুলো ভাউচারের বিপরীতে পণ্য দিচ্ছে না। আমরা এই করোনার সময় আমাদের কষ্টার্জিত অর্থ পাচ্ছি না, বরং প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা পরিবর্তন নিয়ে নতুন নতুন তথ্য পাচ্ছি। এছাড়াও আজ পর্যন্ত তারা ভুক্তভোগীদের কোনও পণ্য ডেলিভারি না করে এক লাখ ভুক্তভোগীর প্রায় এক হাজার ১০০ কোটি টাকা প্রতারণামূলকভাবে আত্মসাৎ করেছে।

news24bd.tv এসএম

এই রকম আরও টপিক