বরিশাল সদর উপজেলার পরিষদ চত্ত্বরের আলোচিত ঘটনায় ইউএনও এবং পুলিশের দায়ের করা দুই মামলায় আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের ১২ জন নেতাকর্মী। অপর ৯ আসামীর জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (২৫ আগস্ট) বরিশালের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. মাসুম বিল্লাহ দুপুর সোয়া ১টায় এই জামিন আদেশ দেন। এর আগে বেলা সাড়ে ১২টায় আদালতে ২১ আসামীর জামিন আবেদনের উপর শুনানি করেন আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর একেএম জাহাঙ্গীর।
শুনানি শেষে আদালত ইউএনও মুনিবুর রহমানের মামলায় ৩ জন তারা হলেন - মো. ইকতিয়ার উদ্দিন, আ. সালাম মনু ও আলো গাজী এবং কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক শাহজালাল মল্লিকের দায়ের করা মামলায় ৯ জন, তারা হলেন - মো. ইকতিয়ার উদ্দিন, আ. সালাম মনু, বরিশাল-পটুয়খালী বাস মালিক সমিতির সভাপতি মো. মমিন উদ্দিন কালু, মো. কবির তালুকদার, হুমায়ুন কবির হাওলাদার, মো. ইলিয়াছ, জমির উদ্দিন, আলো গাজী ও নাসির উদ্দিনের জামিন মঞ্জুর করেন। একই আদেশে আদালত অন্যান্যদের জামিন না মঞ্জুর করেন।
আদালতের আদেশে সন্তোষ প্রকাশ করেন আসামী পক্ষের আইনজীবী তালুকদার মো. ইউনুস। জামিন নামঞ্জুর হওয়া আসামীদের পরবর্তীতে জামিন আবেদন করার কথা বলেন তিনি।
গত ১৮ আগস্ট রাতে বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরের অনাকাঙ্খিত ঘটনায় পরদিন ইউএনও এবং পুলিশ বাদী হয়ে সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহসহ আওয়ামী লীগের ৬০২ জন নেতাকমীর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন কোতয়ালী মডেল থানায়। এ মামলায় পুলিশ এ পর্যন্ত ২৩ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে। তাদের মধ্যে চোখে গুলিবিদ্ধ তানভীর হাসান এবং মনিরুজ্জামান মনির গ্রেফতার অবস্থায় ঢাকার জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ওই ২ জন বাদে অপর ২১ জনের আজ অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন আদালতে জামিনের আবেদন করেন তাদের আইনজীবীরা।
আরও পড়ুন
সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হুইপ শামসুলের মামলার প্রতিবাদে দেশব্যাপী প্রতিবাদ ও মানববন্ধন
কুষ্টিয়ার সেই এসপি তানভীরকে সতর্ক করে যা বললেন হাইকোর্ট
করোনায় অনলাইন কার্যক্রম পরিচালনায় মানুষের দক্ষতা বেড়েছে
পরীমণি-সাকলায়েনের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের সেই ভিডিও সরাতে রিট
এদিকে ইউএনও এবং ওসির মামলার পাল্টা হিসেবে ২২ আগস্ট প্যানেল মেয়র রফিকুল ইসলাম খোকন এবং সিটি করপোরেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা বাবুল হালদার বাদী হয়ে ইউএনও এবং ওসিসহ মোট ১১৪ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন আদালতে।
আদালত ওই মামলার অভিযোগ তদন্ত করে ২৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেন। সরকারের উচ্চ মহলের নির্দেশে ওই দিনই রাতে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মো. সাইফুল হাসান বাদলের বাসায় বিভাগীয় ও জেলা এবং পুলিশ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে সিটি মেয়রসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের এক সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উভয় পক্ষের মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয় বলে জানিয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি একেএম জাহাঙ্গীর। ওই বৈঠকের সুফল হিসেবে আজ ১২ জন নেতাকর্মীর জামিন হলো বলে মনে করেন তাদের আইনজীবীরা।
news24bd.tv এসএম