ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমণি ইস্যুতে একের পর এক সোচ্চার হচ্ছেন চলচ্চিত্রের সিনিয়র অভিনয় শিল্পীরা। এদিকে পরীমণিকে যখন গ্রেপ্তার করা হল সে সময় তার সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি তার পাশে না দাঁড়িয়ে উল্টো তার সদস্য পদ স্থগিত করা হয়। এ বিষয় নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছেই।
প্রশ্ন উঠেছে - শিল্পি সমিতির অনেকেই মামলার অভিযুক্ত।
এ বিষয়ে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এ সিদ্ধান্ত একা নেওয়ার কেউ নন তিনি। পরীমনির বিষয়ে সিদ্ধান্তটি কমিটির ২১ সদস্য মিলে নিয়েছেন। যাদের মধ্যে আলমগীর, ইলিয়াস কাঞ্চন, সোহেল রানার মতো চলচ্চিত্রের জ্যেষ্ঠ শিল্পীরা রয়েছেন।
জায়েদ খানের এমন বক্তব্যে ক্ষুব্ধ কিংবদন্তি অভিনেতা আলমগীর। আলমগীরের দাবি, বিষয়টি (পরীমণির সদস্যপদ স্থগিত) নিয়ে আমার সঙ্গে কেউ কথা বলেনি। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি মিথ্যাচার করছে।
আরও পড়ুন
তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের পরিকল্পনা তালেবানের
হঠাৎ অভিনয় থেকে উধাও হওয়ার কারণ জানালেন সারিকা
কাবুল বিমানবন্দরের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি: এরদোগান
রাজশাহী মেডিকেলের করোনা ওয়ার্ডে আরও ৮ জনের মৃত্যু
আলমগীর আরও বলেন, ‘শিল্পী সমিতির বর্তমান কার্যনির্বাহী পরিষদ কিংবা সমিতির কোনো সদস্যই এ বিষয়ে আমার সঙ্গে কোনো কথা বলেনি। পরীমণির সদস্যপদ স্থগিত করা নিয়ে কোনো মতামত নেওয়া হয়নি আমার। সমিতির কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগও করেননি। অবশ্য আমার সঙ্গে কথা বলার কারণও দেখছি না। আমি এ সমিতির বড় পদের কেউ নই, সাধারণ একজন সদস্য মাত্র। এর পরও এ বিষয়ে আমার নাম জড়ানো হলো, তা আমার বোধগম্য নয়। শিল্পী সমিতির কোনো কর্মকর্তা যদি আমার নাম বলে থাকেন, সেটি অন্যায়। এটি চরম মিথ্যাচার। ’
ক্ষোভ প্রকাশ করে বর্ষীয়ান এই অভিনেতা অনুরোধ জানান, ‘দয়া করে ভবিষ্যতে এমন একটি সমালোচিত ইস্যুতে মিথ্যাভাবে আমার নাম জড়ানো থেকে বিরত থাকবেন। আমার নাম ব্যবহার কিংবা আমাকে জড়িয়ে এমন মিথ্যা, অসত্য ও বিব্রতকর তথ্য গণমাধ্যমের কাছে প্রকাশ করবেন না। ’
news24bd.tv এসএম