রাস্তায় স্কুলছাত্রীকে পালাক্রমে গণধর্ষণ

রাস্তায় স্কুলছাত্রীকে পালাক্রমে গণধর্ষণ

অনলাইন ডেস্ক

৩০ আগস্ট বিকালে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী বান্ধবীর সঙ্গে ফুসকা খেতে যায়। একপর্যায়ে বান্ধবী সাদিয়া মোবাইল ফোনে বিল্লালের সঙ্গে যোগাযোগ করে। বিকাল ৫টার দিকে বিল্লাল তাদের সাথে এলাকায় এসে দেখা করে। পরে তারা তিনজন ঘুরতে সিএনজিযোগে জাহিদের ভাড়া বাসায় আসে।

এখানে তাইজুল, রিফাত, খাইরুল ও নিরব এসে উপস্থিত হয়। কিছু সময় এই বাসায় আড্ডা দেওয়ার পর তারা রাত সাড়ে ৭টার দিকে রিকশাযোগে ঘুরতে বের হয়।

রাত সাড়ে ১২টার দিকে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের স্থানীয় সিংরাটি ব্রিজের অদূরে রাস্তায় পৌঁছে ভুক্তভোগী ছাত্রীকে রাস্তার ওপর জাহিদ, সাব্বির ও তাইজুল ধর্ষণ করে। ঘুরতে বের হওয়া অন্যরা পাশে দাঁড়িয়ে পাহারা দেয়।

একপর্যায়ে তারাও তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

এ ঘটনায় নির্যাতিতা ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে ধর্ষণে সহযোগিতা করার অভিযোগে এক কিশোরীসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে বুধবার রাতে একটি মামলা করেন। এ ঘটনায় আটক ৯ জনকে মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জের আদালতে পাঠানো হয়।  

এর আগে বুধবার দিনভর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে রূপগঞ্জের ভুলতা ফাঁড়ির পুলিশ অভিযুক্তদের মধ্যে ৯ জনকে গ্রেফতার করে।  

গ্রেফতারকৃতরা হলো- স্থানীয় সুলতানসাদী এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে জাহিদ (২০),একই এলাকার আবুল হাসেমের ছেলে তাইজুল (১৯), লস্করদী পূর্বপাড়া এলাকার ইদ্রিস আলীর ছেলে সিয়াম (১৯), সিংরাটি এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে রিফাত (২০),একই এলাকার সুরুজ মিয়ার ছেলে রবিন (২৩), রূপগঞ্জের গোলাকান্দাইল এলাকার মৃত রহিম মোল্লার ছেলে বিল্লাল (১৯),একই এলাকার আবুল কালামের মেয়ে জায়েদা আক্তার সাদিয়া (১৪), আড়াইহাজার উপজেলার বান্টি উত্তরপাড়া এলাকার ওয়াজ আলীর ছেলে নিরব (১৯), আলীসাদী কান্দাপাড়া এলাকার মৃত আবু সিদ্দিকের ছেলে খাইরুল (২২)। আর এখনো পলাতক রয়েছে মামলার ২নং আসামি রাঘবদী এলাকার জহুর আলীর ছেলে সাব্বির (২০)।  

স্কুলে যাওয়া-আসার পথে বিল্লাল নির্যাতিতাকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। তাতে সে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে পরিকল্পিতভাবে বন্ধুদের নিয়ে গণধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটিয়েছে।


বিয়ে ছাড়াই আবারও মা হচ্ছেন কাইলি জেনার

বলিউড পরিচালক বিশাল ভরদ্বাজের প্রস্তাবে মিমের না!

দেশমাতা, আমাকে কি একটু নিরাপত্তা দিতে পারেন


 

এদিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আড়াইহাজার থানার ওসি তদন্ত জুবায়ের আহমেদ বলেন,  এরই মধ্যে অভিযুক্ত ৯ আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পলাতক অন্য আসামিকেও গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

news24bd.tv/আলী