বাংলাদেশকে উন্নয়নের শিখরে পৌঁছে দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী: আমু

বাংলাদেশকে উন্নয়নের শিখরে পৌঁছে দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী: আমু

Other

যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে নিম্ন মধ্য আয়ের বাংলাদেশে উত্তরণ; যেখানে আছে এক বন্ধুর পথ পাড়ি দেওয়ার ইতিহাস। সরকারের রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের মাইলফলক; এমডিজি অর্জন;  দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কাঠামোগত রূপান্তরসহ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির প্রায় সবই সফল হয়েছে  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে। তার হাত ধরেই আজকের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিস্ময় ছড়ায় বিশ্বের বুকে।  

তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে বিশ্বের বিস্ময়।

ক্ষুধা দারিদ্র্যের তকমা কাটিয়ে উঠেছে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে। যার হাত ধরে আমূল পাল্টে গেছে দেশের দারিদ্র্য কিংবা গোটা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কাঠামো। তার প্রধান রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।   

ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের বয়েস ৭২ বছর হলেও ২১ বছর দেশের নেতৃত্ব দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

এর মধ্যে সাড়ে ১৬ বছরই নেতৃত্বে আছেন শেখ হাসিনা। ১৯৯৬ সালে তাঁর নেতৃত্বে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ । ক্ষমতা গ্রহণের শুরুতেই  ভারতের সঙ্গে গঙ্গার পানিবণ্টন ও পার্বত্য শান্তিচুক্তির মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত সমস্যার সমাধান করেন শেখ হাসিনা। ভারত ও মিয়ানমারের সাথে সমুদ্রসীমা বিজয় আসে বঙ্গবন্ধু কন্যার হাত ধরেই।  

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, আজকের বাংলাদেশকে উন্নয়নের শিখরে পৌঁছে দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আরও পড়ুন


বিশ্বের প্রশংসাসহ সব অর্জনই প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে

ফাইজারের আরও ২৫ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন দেশে এসে পৌঁছেছে আজ

গালে থাপ্পড়ের পর এবার ডিম হামলার শিকার ম্যাক্রোঁ, ভিডিও ভাইরাল

মন্দির ভাঙার প্রতিবাদে আদালতের দ্বারস্থ হলেন মুসলিমরা


কেবল রাজনৈতিক সাফল্য নয়; শেখ হাসিনার হাত ধরেই প্রসার হয় ডিজিটাল বাংলাদেশের। তাইতো মহাকাশেও এখন সগর্বে বাংলাদেশের নিজস্ব স্যাটেলাইট।

একের পর সাহসী সিদ্ধান্তে অটুট থাকা প্রধানমন্ত্রী; বিশ্ব ব্যাংকের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে নিজস্ব অর্থায়নে গড়ে তুলেছেন পদ্মা সেতু। যা এখন মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে বিশ্বের বুকে। রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দরসহ একের পর এক উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়ে তার বাস্তবায়নের পথে হাঁটছেন শেখ হাসিনা।  

অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার স্বপ্ন কেবল অভিলাষ নয়; ২০০৮-০৯ অর্থবছরে মাত্র পৌনে ৬ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি তার নেতৃত্বে ছাড়ায় ৮ শতাংশের ঘর। একই বছরে মাথাপিছু জাতীয় আয় ৭৫৯ ডলার থেকে এখন তা ছাড়িয়েছে ২হাজার ২শ ডলার।

রফতানি আয় ২০০৮-০৯ এ ছিল ১৫ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে যা ছাড়ায়  ৪০ বিলিয়ন। এছাড়া ২০০৮-০৯ অর্থবছরে যে প্রবাসী আয় ছিল ৯ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার; ২০১৯-২০ এ তা দাঁড়িয়েছে ১৮ বিলিয়ন ডলারে। আর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সাড়ে ৭শ কোটি ডলার থেকে বেড়ে এখন ৪,৫০০ কোটি ডলারের মাইলফলকে।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে মানবতার অনন্য উদাহরণ তৈরি করেছেন বিশ্বময়। এছাড়া সবশেষ বৈশ্বিক মহামারি করোনা সঙ্কট মোকাবিলায় তার ভূমিকা দেশে-বিদেশে ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছে। তার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বনির্ভর। তাইতো মাথা নত না করা এক বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বের বুকে অনন্য রোল মডেল।

news24bd.tv রিমু