মাস্টার্সে যখন উঠি তখন একটা কম্পিউটার খুবই প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে। কিন্তু আব্বার সামর্থ্য নেই আমাকে একটা কম্পিউটার কিনে দেয়। তখন একটা ডেস্কটপের দাম গড়ে চল্লিশ হাজার টাকা। আব্বাকে বললাম, আপনার যতটুকু সম্ভব ততটুকুই দেন।
টিউশনি করে আমার হাতে বেশ কিছু টাকা ছিলো। বন্ধুর কাছ থেকে ধার করলাম কিছু। সব মিলিয়ে একটা ডেস্কটপ কিনলাম।ইউনিভার্সিটি জীবনে কখনো একটা মোবাইল ফোনের টাকা বাসা থেকে নেইনি।
একটা সময়ে এসে এসব কিনতে আর ভাবতে হতো না। গতো সাত বছর ধরে শুধু অ্যাপলের প্রোডাক্ট ব্যবহার করি—আইফোন, আইপ্যাড, ম্যাক, এপল ওয়াচ এভ্রিথিং। —আলহামদুলিল্লাহ! আমি সামর্থ্য বিষয়টার জন্য অপেক্ষা করতে শিখেছিলাম। সামর্থ্য বিষয়টার জন্য অপেক্ষা করলে সেটা উপভোগের তৃপ্তি অনেক ও আনন্দের। (আমাকে ক্ষমা করবেন, কথাগুলো প্রসঙ্গত বলা। )
আমি লক্ষ্য করেছি, দেশের বহু ছেলে-মেয়ে পরিবারের সামর্থ্য বিষয়টা বুঝে না। অনেকে পরিবারকে চাপ দিয়ে দামি দামি ফোন কিনে। একবার ভাবেও না, কোথা থেকে আসে সে টাকা। চিন্তা করে না, কিভাবে বাবা-মা টাকাটা ব্যবস্থা করবে।
অনেক ছেলে-মেয়ে একটা ফোন না পেলে পরিবারের সাথে খারাপ আচরণ করে। কিন্তু সেসব ছেলে-মেয়েকে যদি একদিন নিজের টাকায় চলতে বলা হয়, তারা পারবে না।
আরও পড়ুন:
ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের বাধা
আজ আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় 'জাওয়াদ'
সামর্থ্য বিষয়টাকে বুঝতে পারা একটা জ্ঞান। সেটা বুঝতে না পারলে জীবনে বিপদ আসে। সামর্থ্য বৃদ্ধির জন্য কাজ করতে হয়। শ্রম দিতে হয়। নিজের সৎ উপার্জনে উপভোগ করার চেষ্টা হলো পবিত্রতম ও আনন্দের। যেদিন নিজে উপার্জন করতে পারবে, সেদিনই বুঝবে পরিবার দিনের পর দিন কতো ত্যাগ স্বীকার করেছে। তার আগে বুঝতে পারবে না।
মৌমাছির চাক ভেঙ্গে মধুটা নিজে সংগ্রহ করে খেতে গেলেই বুঝা যায়, মধুর স্বাদ নেয়া কতোটা কষ্টকর!
(সোশ্যাল মিডিয়া বিভাগের লেখার আইনগত ও অন্যান্য দায় লেখকের নিজস্ব। এই বিভাগের কোনো লেখা সম্পাদকীয় নীতির প্রতিফলন নয়। )
news24bd.tv/এমি-জান্নাত