জন্মসূত্রেই রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক : আরাকান আর্মি প্রধান

নাহিদ হোসেন

ধর্ম বিবেচ্য নয়, জন্মসূত্রেই রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক। এমন মন্তব্য করেছেন রাখাইনের বৌদ্ধ সম্প্রদায় নিয়ন্ত্রিত সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মি প্রধান জেনারেল তোয়াই ম্রা নাইং।

দেশটির রাখাইন প্রদেশ থেকে নিউজ টোয়েন্টিফোরকে অনলাইনে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তুলছি আমরা। বিচার ব্যবস্থা, কর ব্যবস্থাপনাও তৈরি হচ্ছে।

নতুন পুলিশ বাহিনীর প্রশিক্ষণ চলছে। রাখাইনের ৬০ শতাংশের বেশি আমাদের নিয়ন্ত্রণে। এই সংগ্রামের লক্ষ্যই হলো রাখাইনের স্বাধীনতা। মুসলিম-বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মধ্যে এখন দ্বন্দ্ব নেই।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে যেকোনো সহযোগিতায় আরাকান আর্মি প্রস্তুত বলে জানান তিনি।  

১৭৮৪ সালে বার্মিজদের কাছে সার্বভৌমত্ব হারায় স্বাধীন আরাকান রাজ্য। সেই থেকেই শুরু অধিকার ফিরে পাওয়ার যুদ্ধ। দুই শতকের নানা চরাই উৎরাই পেরিয়ে ২০০৯ সালে ২৬ স্বাধীনতাকামী তরুণ গড়ে তোলে সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মি। যার বর্তমান সৈন্য ত্রিশ হাজারের বেশি।

মিয়ানমারের চোখে এক দশকের বেশি সময় সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবেই পরিচিত ছিলো আরাকান আর্মি। তবে যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তে ২০২১ সালের মার্চে সেই তালিকা থেকে সংগঠনটিকে বাদ দেয় মিয়ানমার সরকার।  
নিজেদের সাংগঠনিক অবস্থা থেকে শুরু করে রোহিঙ্গা সঙ্কট, নানা প্রশ্নের উত্তর নিয়ে নিউজ টোয়েন্টিফোরের মুখোমুখি হন সংগনটির প্রতিষ্ঠাতা ও কমান্ডার ইন চিফ জেনারেল তোয়াই ম্রা নাইং। প্রশ্ন ছিলো আরাকান আর্মির হাল হকিকত কেমন।

তোয়াই ম্রা নাইং বলেন, প্রসঙ্গ যখন রোহিঙ্গা সঙ্কট, জেনারেল নাইংয়ের সাফ জবাব, রোহিঙ্গাদের জন্মভূমিতে ফিরিয়ে এনে যথা দ্রুত সম্ভব নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করা উচিত।

তিনি বলেন, জাতিসংঘ থেকে আরাকান আর্মির সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে দাবি করে, জেনারেল নাইং বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে যেকোনো রকম সহযোগিতার জন্যও প্রস্তুত তারা।

আরাকান আর্মি প্রধান বলেন, তাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম চলবেই।

news24bd.tv/এমি-জান্নাত