সালিশে গিয়ে কিশোরীকে চেয়ারম্যানের বিয়ে : প্রতিবেদন হাইকোর্টে

অভিযুক্ত চেয়ারম্যান

সালিশে গিয়ে কিশোরীকে চেয়ারম্যানের বিয়ে : প্রতিবেদন হাইকোর্টে

অনলাইন ডেস্ক

পটুয়াখালীর বাউফলের কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদার এক কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে সালিশ করতে গিয়ে নিজেই সেই কিশোরীকে বিয়ে করেন। এই ঘটনায় চেয়ারম্যান ক্ষমতার অপব্যবহার করেছিলেন কি না, তা তদন্ত করতে হাইকোর্ট জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছিলেন।

একই সাথে ওই কিশোরীকে বিয়ে করার ক্ষেত্রে ‘বাল্যবিবাহ’ হয়েছে কি না, তাও তদন্ত করতে জেলা নিবন্ধককে নির্দেশ দেওয়া হয়। আবার এই পুরো ঘটনায় ফৌজদারি অপরাধ ঘটেছে কি না তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করতে বলেন আদালত।

ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারের বিষয়ে হাইকোর্টের এই আদেশের পরিপেক্ষিতে পিবিআই ও পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক (ডিসি) তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) প্রতিবেদনের বিষয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানি হতে পারে।

গত বছরের ২৭ জুন সাবেক দুই ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করিম ও একরামুল হক টুটুল বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন। পরে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের ভার্চুয়াল বেঞ্চ স্বঃপ্রণোদিত রুলসহ আদেশ দেন।

এর আগে ২০২১ সালের জুন মাসে প্রেমের টানে বাড়ি ছাড়া দুই কিশোর-কিশোরীর বিষয়ে ডাকা সালিশে কিশোরীকে চেয়ারম্যান নিজেই বিয়ে করেন। ওই কিশোরী স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। প্রেমের টানে এক কিশোরের সঙ্গে বাড়ি ছাড়েন তিনি।

বিষয়টি জানার পর কিশোরীর বাবা ইউপি চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন হাওলাদারের (৬০) কাছে নালিশ করলে তিনি সালিশ ডাকেন।

বিয়ের কাবিননামায় মেয়েটির জন্মতারিখ উল্লেখ করা হয় ২০০৩ সালের ১১ এপ্রিল। কিন্তু বিদ্যালয়ে দেওয়া জন্মনিবন্ধন ও পিএসসি পাসের সনদ অনুযায়ী মেয়েটির জন্মতারিখ ২০০৭ সালের ১১ এপ্রিল।

আরও পড়ুন


নিপুণ ও জায়েদ খানকে নিয়ে যা বললেন ইলিয়াস কাঞ্চন

news24bd.tv এসএম