স্পেস সেন্টারে জয়ের উল্লাস

স্পেস সেন্টারে জয়ের উল্লাস

এনআরবি নিউজ, নিউইয়র্ক থেকে

বঙ্গবন্ধু-১ মহাকাশে উৎক্ষেপণের পর আবেগ-আপ্লুত সজীব ওয়াজেদ জয় ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টারে উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। বলেছেন, উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ, তা আরো উজ্জ্বলভাবে দৃশ্যমান হলো। দক্ষিণ এশিয়া তথা এশিয়া মহাদেশ ছাড়িয়ে গোটাবিশ্ব এখন অবাক বিস্ময়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রত্যক্ষ করবে। লাল-সবুজের পতাকাবাহি এবং জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগানে উদ্ভাসিত ‘বঙ্গবন্ধু-১’ ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনার মধ্য দিয়ে জাতিরজনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার পরিক্রমাকে ত্বরান্বিত করবে।

জয় বললেন, ‘বিশ্বের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আমরা উন্নতি করব, মানুষের অর্থনৈতিক সমৃৃদ্ধি এনে দেব। এজন্য সামনের নির্বাচনেও আওয়ামী লীগকে বিজয় দিতে হবে। এজন্যে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ’

যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি মহাকাশ অনুসন্ধান ও প্রযুক্তি কোম্পানী ‘স্পেস এক্স’র মাধ্যমে কেনেডি স্পেস সেন্টারের লঞ্চ প্যাড থেকে শুক্রবার স্থানীয় সময় অপরাহ্ন ৪টা ১৪ মিনিটে স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণ হয়।

এ দৃশ্য সরাসরি প্রদর্শিত হয় সেখানে সমবেতদের সামনে।

স্পেস সেন্টারের লগো সম্বলিত টি শার্ট ও টুপি পরিহিত উৎফুল্ল জয়ের হাতে ছিল লাল-সবুজের পতাকা। আনন্দে অভিভূত জয় বারবার উল্লাস করছিলেন। পরম করুণাময়ের শোকরানা আদায় করছিলেন মহাকাশে যথাযথভাবে উৎক্ষেপণ হওয়ায়। এর আধা ঘণ্টা পরই বাংলাদেশের প্রথম বাণিজ্যিক স্যাটেলাইটটি কাঙ্খিত জিওস্টেশনারি ট্রান্সফার অরবিটে পৌঁছানোর দৃশ্যও ভেসে উঠে সেই পর্দায়। সকলে তখোন ‘জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগানে মেতে উঠেন। এ সময়ই ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে প্রথমে টেলিফোন এবং পরে ভিডিও কনফারেন্সে নিজের উল্লাস ভাগাভাগি করেন জয়। অপরপ্রান্ত থেকে শেখ হাসিনা এ প্রকল্পের সকলকে ধন্যবাদ জানান। প্রবাসীদেরকেও অভিবাদন জানান।

স্পেস সেন্টারে থাকা প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এবং প্রতিমন্ত্রী পলকও শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান। প্রবাসীদের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে সংগ্রামী শুভেচ্ছা জানান যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান। এ সময় বিটিআরসি চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদকেও ধন্যবাদ দেন প্রধানমন্ত্রী। ভিডিও কনফারেন্সের সময় আবেগ ধরে রাখতে না পেরে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সদস্য খোরশেদ খন্দকার স্লোগান দেন ‘শেখ হাসিনার সরকার-বারবার দরকার। ’ অভাবনীয় এ মুহূর্তে সেখানে উপস্থিত স্পেস সেন্টারের আমেরিকান কর্মকর্তারাও জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগানে কন্ঠ মেলান। এক পর্যায়ে উপস্থিত সকলে বাংলাদেশের পতাকাখচিত ব্যানার নিয়ে বিজয়-উল্লাস করেন।

মহাকাশে বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণ প্রক্রিয়া প্রত্যক্ষকারী ইঞ্জিনিয়ার আবু হানিফ গভীরভাবে কৃতজ্ঞতা জানান সজীব ওয়াজেদ জয়কে। ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনায় এই স্যাটেলাইটের বিকল্প ছিল না। নতুন প্রজন্মকে আরো কর্মে উদ্দীপনার ক্ষেত্রে এর অবদান অবিস্মরণীয় হবে-তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর আমরা যারা আউটসোর্সিংয়ে রয়েছি বা কাজ করতে আগ্রহী, তাদের অনেক সমস্যা দূর হয়ে যাবে। ইন্টারনেট দ্রুত গতিসম্পন্ন হলে বিদেশীরাও বিনিয়োগে আরো বেশী আগ্রহী হবেন।

উল্লেখ্য যে, ১০ মে একই সময়ে এই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু সফল না হওয়ায় অনেকে হতাশ হয়ে স্পেশ সেন্টার ত্যাগ করেছেন। এরপরও বহু প্রবাসী এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আমেরিকান ছিলেন দর্শক-গ্যালারিতে। মাথাপিছু ৫৩ ডলারের টিকিট কেটে অনেকে সন্তানসহ সেখানে অবস্থান করেন।

নিউজ টোয়েন্টিফোর/এনআরবি/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর