রাশিয়া ইউক্রেনে ধর্ষণকে ‘সামরিক কৌশল’ হিসাবে ব্যবহার করছে বলে দাবি করেছেন জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি প্রমিলা প্যাটেন। বেসামরিক লোকদের যৌন নিপীড়নের জন্য রাশিয়া তার সৈন্যদের ভায়াগ্রা দিচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
যুদ্ধে যৌন সহিংসতা বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি প্রমিলা প্যাটেন এএফপিকে বলেন, রাশিয়ান সৈন্যদের সম্পর্কে ইউক্রেনীয় নারীদের সাক্ষ্য শুনলে বোঝা যায় এটি স্পষ্টতই একটি সামরিক কৌশল।
প্যাটেন বলেন, ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে জাতিসংঘ ধর্ষণ বা যৌন নিপীড়নের ‘শতাধিক মামলা’ যাচাই করেছে।
ভুক্তভোগীদের মধ্যে কিশোরী ও নারী ছাড়াও পুরুষরাও রয়েছে।এর আগে সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক কমিশন অফ ইনকোয়ারি ইন ইউক্রেনের প্রধান জানিয়েছিলেন, রাশিয়ান বাহিনী ইউক্রেনীয় নাগরিকদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও নির্যাতনের মত যুদ্ধাপরাধ করছে।
তিনি আরও জানান, ৪ থেকে ৮২ বছর বয়সীরা যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন। কিছু ক্ষেত্রে যৌন নির্যাতনের এ দৃশ্য পরিবারের সদস্যদের দেখতে বাধ্য করা হয়েছে।
প্যাটেন বলেন, ‘যুদ্ধ চলাকালীন সঠিক পরিসংখ্যান বজায় রাখা কঠিন। এছাড়া অনেক ক্ষেত্রে এই অপরাধের অভিযোগ করেনা ভুক্তভোগী। তবে রাশিয়া যুদ্ধাপরাধের সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
সূত্র: নিউ ইয়র্ক পোস্ট।
news24bd.tv/আজিজ