ইতিহাসের সেরা বিশ্বকাপ এটি: ফিফা সভাপতি

সংগৃহীত ছবি

ইতিহাসের সেরা বিশ্বকাপ এটি: ফিফা সভাপতি

অনলাইন ডেস্ক

ধর্মীয় আইন দ্বারা পরিচালিত কাতারে বিশ্বকাপ আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর থেকেই ফিফাকে শোনতে হয়েছে সমালোচনা। তবে সে সব বিতর্ক দূরে ঠেলে বিশ্বকাপ আয়োজনে মুনশিয়ানা দেখিয়েছে মধ্য প্রাচ্যের দেশ কাতার। বিশ্বকাপ দেখতে দেশটিতে ভিড় জমাচ্ছে বিশ্বের সকল প্রান্তের ফুটবলপ্রেমীরা। যা মুগ্ধ করেছে ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোকে।

এছাড়াও বিভিন্ন দিক থেকে আগের আসরগুলো থেকে এগিয়ে কাতার বিশ্বকাপ এমনটাই মনে করেন ফিফা সভাপতি।

কাতার যেন এক অঘটনের বিশ্বকাপ। যেখানে একের পর এক অঘটনের সাক্ষী হয়েছে বিশ্ব ফুটবল। আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, ফ্রান্স, ক্রোয়েশিয়া, স্পেনের মতো শক্তিশালী দলকে হারতে হয়েছে গ্রুপপর্বে।

অন্যদিকে গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে জার্মানি ও বেলজিয়ামের মতো ফুটবল পরাশক্তিকে। ফলে গ্রুপপর্বে জায়গা করা দলগুলো ফিফা সভাপতির প্রশংসা কুড়াচ্ছেন।  

৩২টি দলের প্রশংসা করে ইনফান্তিনো বলেন, ‘আমি এই বিশ্বকাপের সবগুলো ম্যাচ দেখেছি। খুব সহজে ও স্পষ্টভাবে বলতে গেলে, এটি বিশ্বকাপের সর্বকালের সেরা গ্রুপপর্ব ছিল। একইসঙ্গে স্টেডিয়ামের মান ছিল দারুণ এবং দর্শকের ভিড়ও হয়েছে প্রচুর, গড়ে ৫১,০০০ দর্শক দেখা গেছে ম্যাচগুলোতে। শুধু স্টেডিয়াম কিংবা দোহার রাস্তাতেই নয়, টেলিভিশনেও ফুটবল উপভোগ করা দর্শকসংখ্যা নতুন রেকর্ড গড়েছে কাতার বিশ্বকাপে এসে। ’

ফিফা সভাপতি আরও বলেন, ‘টেলিভিশনে সংখ্যাটা রেকর্ড ভেঙেছে। আমরা ইতোমধ্যে ২০০ কোটির বেশি দর্শক পেয়েছি, যা সত্যিই অবিশ্বাস্য! ২৫ লাখ মানুষ দোহার রাস্তায় দাঁড়িয়ে এবং লাখো মানুষ প্রতিদিন স্টেডিয়ামে এসে খেলা দেখেছেন। তারা সম্মিলিতভাবে উল্লাস করেছেন এবং নিজেদের দলকে সমর্থন দিয়েছেন। ’

এছাড়াও বিভিন্ন দিক দিয়েই আগের আসরগুলোকে ছাড়িয়ে গেছে কাতার বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপ ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রতিটি মহাদেশের দল নকআউট পর্বে প্রতিনিধিত্ব করেছে কাতার বিশ্বকাপে। চলতি বিশ্বকাপে এশিয়ান অঞ্চল থেকে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে তিনটি দেশ। অন্যদিকে আফ্রিকান অঞ্চল থেকে শেষ ষোলোতে পা রেখেছে দুটি দেশ। যা ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো।

কাতার বিশ্বকাপ এটাই প্রমাণ করে বিশ্বকাপে ছোট দল বড় দল বলে কিছু নেই। এ বিষয়ে ইনফান্তিনো বলেন, ‘এখন আর বড় দল ও ছোট দল বলে কিছু নেই। সবার মান ছিল কাছাকাছি। প্রথমবারের মতো সব মহাদেশের জাতীয় দল নকআউট পর্বে গেল। এটা দেখায় যে ফুটবল এখন সত্যিই বৈশ্বিক একটি খেলা। ’

news24bd.tv/আমিরুল