বসুন্ধরা গ্রুপের উপহার পেয়ে বৃদ্ধ পসিরের চোখে আনন্দাশ্রু

সংগৃহীত ছবি

বসুন্ধরা গ্রুপের উপহার পেয়ে বৃদ্ধ পসিরের চোখে আনন্দাশ্রু

অনলাইন ডেস্ক

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলা সদরের কৃষ্ণকান্তজোত এলাকার বাসিন্দা পসির উদ্দিনের বয়স ৯০ পেরিয়েছে। জীবনের বেশিরভাগ সময় কেটেছে ভাতের সঙ্গে সংগ্রাম করে। বাঁশের বেড়া চাটাই বানানোর কাজ করেই চলতো তার সংসারের চাকা। দুই মেয়ে ও এক ছেলে সন্তানকে বড় করে বিয়ে দিয়েছেন।

তারা এখন সবাই নিজেদের সংসার নিয়ে ব্যস্ত। আর পসিরের সংসার থেমে আছে এক টুকরো জমি আর ভাঙা চালার একখানি ঘরে। সংসারে আছে কেবল পাগল প্রায় স্ত্রী জমেনা খাতুন।

সারা জীবন মানুষের ঘরবাড়ি মেরামত করলেও টাকার অভাবে নিজের ঘরখানি মেরামত করা হয়ে ওঠেনি পসিরের।

ভাঙা বেড়া আর জোড়াতালি দেওয়া ঘরে পসিরের কঙ্কালদেহটি তার দারিদ্রের বড় সাক্ষী হয়ে রয়েছে। ৯০ বছর পরিশ্রম করে সংসারের চাকা সজল রাখলেও বয়সের ভাঁড়ে এখন তা আর পারছেন না। শরীর মারাত্মক দুর্বল হয়ে পড়েছে তার। শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগ বাসা বেধেছে শরীরে। ছয় মাস থেকে বিছানায় পড়ে রয়েছেন তিনি। খেয়ে না খেয়ে কাটছে তার দিন। স্ত্রী জামেনা সারাদিন রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ান। মানুষ খেতে দিলে খান, না দিলে উপোষ থাকেন।

অসহায় সেই পসিরের কষ্ট কিছুটা লাঘব করার জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে রমজান ও ঈদ উপলক্ষে উপহার সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে তার কাছে।

শুভসংঘের পক্ষ থেকে আজ মঙ্গলবার তেঁতুলিয়ার স্কুল শিক্ষক ও তরুণ সমাজকর্মী ফেরদৌস আলম লিটন তার বাড়িতে গিয়ে পৌঁছে দেন বসুন্ধরা গ্রুপের উপহার সামগ্রী। উপহার সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ৫০ কেজি চাল, ৩ লিটার সয়াবিন তেল, ৩ কেজি ডাল, ৫ কেজি আটা, ৫ কেজি আলু, ৩ কেজি চিনি, ৫ কেজি পেঁয়াজ, ১ কেজি লবণ, ২ কেজি ছোলা ও দুই প্যাকেট সেমাই।

প্রথমে এত সব উপহার দেখে বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না বৃদ্ধ পসির উদ্দিন। এক পর্যায়ে তার চোখ বেয়ে পড়ে আনন্দাশ্রু। এক সাথে এতসব বাজার কোনোদিন দেখা হয়নি তার। পসির উদ্দিন বলেন, ‘আমি প্রথমে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না যে এতকিছু আমার জন্য আনা হয়েছে। আমি কতটা কষ্টে পড়ে আছি সৃষ্টিকর্তাই জানেন। আমার অনেক বড় উপকার হলো। এই চালসহ এসব বাজার দিয়ে আমার কয়েক মাস চলে যাবে। যে ব্যক্তি আমার মতো অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন সৃষ্টিকর্তা তার উত্তম প্রতিদান দান করুন। ’