আটলান্টিকের অতলে হারিয়ে যাওয়া ‘টাইটানিক’ দেখতে সাবমেরিন টাইটানে চেপে সাগরের তলদেশে গিয়েছিলেন চার ধনকুবের। তবে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে চালকসহ প্রাণ হারালেন তারা। টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখার পরিকল্পনাকারী প্রতিষ্ঠান ওশ্যানগেট এক্সপেডিশানস বৃহস্পতিবার রাতে এমন কথাই জানিয়েছে।
এমন খবরের পরেই টাইটান নিয়ে কথা বলেছেন টাইটানিক সিনেমার পরিচালক জেমস ক্যামেরন।
ঘটনাটি জানার পর ক্যামেরনের মাথায় প্রথমে আসে বিস্ফোরণের কথা। গতকাল মার্কিন নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তা বিবিসির সহযোগী সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজকে বলেছেন, টাইটান যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরপরই তারা একটি শব্দগত অসংগতি শনাক্ত করেন। এই শব্দ বিস্ফোরণের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
ক্যামেরন আরও জানান, গত রোববার টাইটান নিখোঁজের সময় তিনি একটি জাহাজে ছিলেন। সোমবার পর্যন্ত তিনি টাইটানের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে কিছুই জানতেন না। হলিউডের এই কিংবদন্তি পরিচালক আরও জানান, যখন তিনি জানতে পারেন, সাবমেরিনটি একই সময়ে তার নেভিগেশন ও যোগাযোগ উভয়ই হারিয়েছে, তখনই তিনি একটি বিপর্যয়ের আশঙ্কা করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘কী ঘটেছে, তা আমি হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি। ’
ক্যামেরন জানান, সাবমেরিনটির ইলেকট্রনিক ব্যবস্থা, যোগাযোগব্যবস্থা ও ট্র্যাকিং ট্রান্সপন্ডার একই সঙ্গে নিষ্ক্রিয় হয়েছে। এই তথ্য জেনে তৎক্ষণাৎ তিনি বুঝতে পেরেছেন, সাবমেরিনটি শেষ। কেননা, একটি চরম বিপর্যয়মূলক ঘটনা ছাড়া এগুলো একত্রে নিষ্ক্রিয় হতে পারে না।
উল্লেখ্য, উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে ১৯১২ সালে টাইটানিক জাহাজ ডুবে যায়। ১২ হাজার ৫০০ ফুট গভীরে জাহাজটির ধ্বংসাবশেষ রয়েছে। টাইটানিকের গল্প অবলম্বনে ১৯৯৭ সালে টাইটানিক সিনেমা পরিচালনা করেন জেমস ক্যামেরন। আর এর জন্য টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে ক্যামেরন ৩৩ বার আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে গিয়েছিলেন।
এদিকে, সেই টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে পাঁচ আরোহী নিয়ে গত রোববার সাগরের তলদেশের উদ্দেশে যাত্রা করে টাইটান নামের ডুবোজাহাজটি। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে তলদেশের উদ্দেশে যাত্রা শুরুর পৌনে দুই ঘণ্টার মাথায় নিয়ন্ত্রণকক্ষের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় সাবমেরিনটির। চার দিন মহাসাগরের তলদেশে ব্যাপক তল্লাশির পর গতকাল বৃহস্পতিবার উদ্ধারকারীরা ডুবোজাহাজটির ধ্বংসাবশেষ পাওয়ার কথা জানান।
আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষের পাশেই পাওয়া যায় টাইটান সাবমেরিনের ধ্বংসাবশেষ।
news24bd.tv/SHS
