নতুন সরকার কাজ শুরু করলে ঘুরে দাঁড়াবে অর্থনীতি

ছবি তুলেছেন সিনিয়র ফটো করেসপন্ডেন্ট জিএম মজিবুর

সাক্ষাৎকারে ড. জায়েদ বখত

নতুন সরকার কাজ শুরু করলে ঘুরে দাঁড়াবে অর্থনীতি

অনলাইন ডেস্ক

ড. জায়েদ বখত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অর্থনীতির নানা শাখায় কাজ করেছেন বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের অধিকারী এ অর্থনীতিবিদ।

সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। কথা বলেছেন দেশের ব্যাংকিং খাত, মূল্যস্ফীতি, ডলার সংকটসহ জাতীয় নির্বাচন-পূর্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও নির্বাচন পরবর্তী নতুন সরকারের দায়িত্বগ্রহণ নিয়ে। পাশাপাশি এই মুহূর্তে সরকারের করণীয় কী, এমন বিষয়েও মত দিয়েছেন তিনি।

 সাক্ষাৎকার নিয়েছেন জাফর আহমদ। ছবি তুলেছেন সিনিয়র ফটো করেসপন্ডেন্ট জিএম মজিবুর।

প্রশ্ন: অনেক চ্যালেঞ্জ মাথায় নিয়ে নতুন সরকার দায়িত্ব নিল। এখন সরকারের করণীয় কী হতে পারে?
ড. জায়েদ বখত: সামষ্টিক অর্থনীতি বেশ চ্যালেঞ্জের মধ্যে ছিল।

উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও টাকার বিনিময় হার একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। এগুলো নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নীতি-নির্ধারণী পর্যায় থেকে চেষ্টা করা হলেও নির্বাচনের কারণে সীমাবদ্ধতা ছিল। এখন নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হয়ে গেছে। সরকারের সফলতার জন্য মূল্যস্ফীতি কমানো, মুদ্রার বিনিময় হার বাজারমুখী করা, বৈদেশিক মুদ্রার জোগান বা রিজার্ভ ব্যবস্থাপনায় বেশি জোর দেওয়াসহ ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতে সংস্কার করতে হবে।

নির্বাচন-পূর্ব পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটেছে নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে। নীতি-নির্ধারণের যে সীমাবদ্ধতা ছিল সেটা এখন আর নেই। এটা অর্থনীতিকে আরও বেগবান করবে। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে অনিশ্চয়তা ছিল। দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের কারণে সে অনিশ্চয়তাও কেটে গেছে। এরই মধ্যে শেয়ারবাজার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। এখন সরকারের যেসব পদক্ষেপ ধীরগতিতে চলছে সেসবের গতিও বাড়বে। নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। সবাই বিনিয়োগে এগিয়ে আসবেন। এতে অর্থনীতিতে গতির সঞ্চার হবে। এখন বিনিয়োগ, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সবই ত্বরান্বিত হবে। সব কিছু মিলিয়ে একটা অনুকূল পরিস্থিতির মধ্যে আমরা যাচ্ছি। সরকারের নীতিমালা সংশোধনের কারণে কিছু উন্নতি হবে। নতুন উদ্যম নিয়ে প্রায়োরিটিগুলো (অগ্রাধিকার) ঠিক করে সরকার এগিয়ে যাবে। সরকার যথেষ্ট চিন্তাভাবনা করে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করেছে। সেখান থেকেই বোঝা যায় অর্থনীতির চাকা সচল হবে। ফলে সামষ্টিক অর্থনীতি, মুদ্রাস্ফীতি, টাকার বিনিময় হার অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।  

কিছু কাঠামোগত সমস্যা আছে। যেমন ব্যাংকিং খাতে সংস্কার, মানিলন্ডারিং (মুদ্রাপাচার) এগুলো রাতারাতি সমাধান করা যাবে না। পলিসি (নীতি) করে সমাধান করতে হবে। এটার জন্য কারেকটিভ অ্যাকশন (সংশোধনমূলক পদক্ষেপ) নিতে হবে।

প্রশ্ন:মূল্যস্ফীতি এখনো বড় সমস্যা, এটা নিয়ন্ত্রণে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে?
ড. জায়েদ বখত: প্রথম দিকে হয়তো মূল্যস্ফীতির হার আরেকটু বাড়তে পারে কিন্তু তা সাময়িক। পরে দ্রুত সময়ের মধ্যে তা কমে আসবে। দেশের ভেতরে কোনো উৎপাদন খাত কিন্তু ব্যাহত হয়নি। শিল্প খাতে ডলারের দর বেশি হওয়ার কারণে একটু চাপে পড়েছে। অন্যদিকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বাড়ার কারণে তাদের উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। এটা কিন্তু বিশ্বব্যাপী। এর কারণে অর্থনীতি চাপের মধ্যে থাকলেও বিপর্যয় ঘটেনি। এর চাপ ব্যাংকেও পড়েছে। কারণ ব্যবসায়ীরা ঠিকমতো ঋণের কিস্তি শোধ করতে পারেননি। ফলে খেলাপি ঋণ বেড়েছে।

কোভিড-১৯ মহামারির আগে দেশের অর্থনীতি অনন্য উচ্চতায় ছিল। কোভিডে অনেক দেশে সমস্যা হলেও আমাদের বিভিন্ন ইতিবাচক নীতির কারণে সেসব সমস্যা হয়নি। সুদের হার ৯ শতাংশ থাকার কারণে ব্যবসায়ীরা বড় ক্ষতির মুখে পড়েনি। কোভিড কাটিয়ে অর্থনীতি যখন ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে তখন শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। ফলে বিশ্বব্যাপী ডলারের বাজারে অস্থিরতা শুরু হয়। কিন্তু সেসব ধাক্কাও অনেক কাটিয়ে ওঠা গেছে।

এ মুহূর্তে আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের যে পরিস্থিতি, তা অন্যান্য মুদ্রার (ডলার) মূল্যের তুলনায় একটু নিচের দিকেই রয়েছে। এতে বিশ্ব অর্থনীতিতে মূল্যস্ফীতির হারও কমে এসেছে। সুতরাং বিশ্ব অর্থনীতি স্থিতিশীল হলে তার প্রভাব আমাদের অর্থনীতিতে পড়বে। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম পড়তে শুরু করায় মূল্যস্ফীতি নিম্নমুখী। এর সঙ্গে বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি কমে আসার প্রবণতা নতুন বছরে দেশের অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলবে।  

প্রশ্ন: ডলার সংকট কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে বা কমেছে মনে করেন কি না?
ড.জায়েদ বখত: এখন পর্যন্ত স্থিতিশীল হয়নি। কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ব্যালান্স দক্ষতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করেছি, সারপ্লাস হয়েছে। কিন্তু ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্ট ডেফিসিট এখনো রয়েছে। ফলে রিজার্ভ কমছে। ডলার সংকটে বিনিয়োগও কমেছে। সব কিছু মিলিয়ে ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্টে চাপ যাচ্ছে। এখানে খুব বেশি কিছু করার নেই। তবে নির্বাচনের পরে ভালো অবস্থানে এসেছি; এটা ওভারকাম করা সম্ভব হবে। ডলার দর বাজার দরের কাছাকাছি নিতে হবে। বিনিময় হার বাজারমুখী হলে বৈদেশিক মুদ্রার ওপর চাপও কমে আসবে। এটি রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বাড়াতে ভূমিকা রাখবে।

নির্বাচন সামনে রেখে পুঁজি পাচারের বিষয়টি বড় করে সামনে এসেছে। হুন্ডি মার্কেট আগেও ছিল এখনো আছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ডলার মার্কেটে গ্যাপ হয়ে গেছে। ৭/৮ টাকা পার্থক্য দেখা গেছে। যেটা আগে কখনো হয়নি। তার মানে বড় পুঁজি পাচার হয়েছে। বিশেষ করে আন্ডার ও ওভার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে অর্থ পাচার হওয়া শুরু হলে বাংলাদেশ ব্যাংক সেটা কন্ট্রোল করতে সক্ষম হয়েছে। মোবাইল ব্যাংকিংয়েও অর্থ পাচার কিছুটা রোধ করা গেছে। কিন্তু গত এক বা দু্ই বছরে প্রশাসনিকভাবে হুন্ডি মার্কেট নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। যারা টাকা পাচার করবে তারা বিদেশে প্রবাসীদের কাছে থেকে বাড়তি দামে সেটা সংগ্রহ করে নিচ্ছে। আর দেশে তাদের স্বজনদের সেটা দিয়ে দিচ্ছে।   

সেখানে হুন্ডি কারবারিদের কাছে রেট কোনো ব্যাপার না। এ জন্য বাংলাদেশে বসে রেট ঠিক করা সম্ভব হয় না। একটা থাকে প্রশাসনিক ব্যবস্থা। এক্ষেত্রে আগের গর্ভনর কিছুটা সফল হয়েছিলেন। অনোনুমোদিত মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করে রেমিট্যান্স আনা হয়েছিল। শাস্তিমূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে সেটা বন্ধ করা হয়েছিল।

হুন্ডি রোধে অনেক অর্থনীতিবিদ ডলার দর বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছেন। কিন্তু আমি তাদের সঙ্গে একমত নই। কারণ মার্কেট রেটের সঙ্গে ডিফারেন্স হচ্ছে পুঁজি পাচারের কারণে। বাজারের ওপর ছেড়ে দিলে সেটাতে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

প্রশ্ন: অগ্রণী ব্যাংক নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
ড. জায়েদ বখত: মেজর ইন্ডিকেটর (প্রধান সূচক) যেমন—আমানত, ঋণ, আমদানি, রপ্তানি, রেমিট্যান্সে অগ্রণীর অবস্থান টপ লেভেলে (শীর্ষ পর্যায়ে) আছে। আমদানি ও রপ্তানিতে রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলোর মধ্যে প্রথম অবস্থানে আছে অগ্রণী। সার্বিকভাবে রেমিট্যান্সে সবসময়ই আমাদের অবস্থান দ্বিতীয় অর্থাৎ ইসলামি ব্যাংকের পরেই থাকে। কিন্তু বিনিময় হার সমস্যার কারণে একটা বেসরকারি ব্যাংক আমাদের চেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আহরণ করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকও এটা দেখে অবাক হয়েছে। সরকারি ব্যাংক হিসেবে ডলার রেট বাংলাদেশ ব্যাংক যেটা বেঁধে দেয় তার বাইরে দেওয়ার সুযোগ নেই।

খেলাপি ঋণ বেড়ে গেছে। সুদ মওকুফ ও পুনঃতফসিল সুবিধার কারণে কয়েকবছর আগেও খেলাপি ঋণ কমে গিয়েছিল। কিন্তু অর্থনীতির বর্তমান অবস্থার কারণে সেটা আবার বেড়ে গেছে। অগ্রণী ব্যাংকও তার বাইরে নয়। ১২ শতাংশ থেকে খেলাপি ঋণ বেড়ে ১৬-১৭ শতাংশে উঠে গেছে। ফলে মূলধন ঘাটতি দেখা গেছে। কিন্তু খেলাপি ঋণ কমানোর জন্য এরই মধ্যে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। এ বছর অর্থনীতি চাঙ্গা হলে এসব সমস্যা কমে আসবে।

প্রকল্প অর্থায়নও করেছে অগ্রণী ব্যাংক। পদ্মা সেতুতে অর্থায়নে বড় অংশীদার আমরা। বড় শিল্পেও অর্থায়ন করেছি। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে অর্থায়নের জন্য আমরা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পুরস্কারও পেয়েছি। কৃষির অর্থায়নেও আমরা বাড়তি সুবিধা দিয়েছি।

ডিজিটাল সার্ভিসের ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে নেই। বর্তমানে অগ্রণী ব্যাংকের ৯৭৫টি শাখায় অনলাইন সার্ভিস চালু আছে। অগ্রণী ব্যাংকে হলমার্ক, বিসমিল্লাহ, অ্যাননটেক্সের মতো বড় কোনো জালিয়াতির ঘটনা নেই। এ ধারাবাহিকতা আমরা ধরে রাখতে চাই।

 

প্রশ্ন:  যেমনটা বলছিলেন, পদ্মা সেতুতে অগ্রণী ব্যাংক বড় অংশীদার। যদি অভিজ্ঞতা বলতেন।
ড. জায়েদ বখত: রপ্তানি ও প্রবাসী আয় আহরণের দিক থেকে আমরা এগিয়ে ছিলাম। সে কারণে আমাদের যথেষ্ট  বৈদেশিক মুদ্রা ছিল। এই পদ্মা সেতুর ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আমাদের ইনিশিয়াল আন্ডারস্ট্যান্ডিং (প্রাথমিক বোঝাপড়া) ছিল আমরা বৈদেশিক মুদ্রা দেবো। আর বাংলাদেশ ব্যাংক আমাদের ফেরত দেবে। কিন্তু একটি ডলারও ফেরত নেওয়া লাগেনি। আমরা চাইনি, চাওয়ার প্রয়োজনও হয়নি।

প্রশ্ন:  করোনা মহামারি থেকে উত্তরণে সরকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছিল। প্রণোদনা বিতরণে অগ্রণী ব্যাংকের ভূমিকা কী ছিল? 
ড. জায়েদ বখত: সরকারের নির্দেশনা অনুসারে বৃহৎ শিল্প, ক্ষুদ-মাঝারি শিল্প—সব ক্ষেত্রে আমরা প্রণোদনা বিতরণ করেছি। এখন পর্যন্ত রিকোভারিও সন্তোষজনক। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম মেনে নবায়ন করা হয়েছে। নবায়ন করলে তারা আর ওই ভর্তুকিটা পায় না। যেহেতু ব্যবসায়ীরা একটি ক্যাশ ফ্লো ক্রাইসিসে আছে, এখন যদি টাকা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেই তাহলে তারা একটা সংকটে পড়ে যাবে। তাই তারা নবায়ন করতে চাইলে আমরা সেটা করে দিচ্ছি। নবায়ন করলে তারা একটি ব্রিদিং স্পেস পাবে, টাকা ফেরত আসবে।  

প্রশ্ন:  বেসরকারি ব্যাংকের প্রতি মানুষের আস্থা ছিল বেশি। কিছু ঘটনার পর দেখা যাচ্ছে সরকারি ব্যাংকের প্রতি মানুষের আস্থা আবার ফিরছে। এটা কেন হলো?
ড. জায়েদ বখত: সুদহার ৬-৯ শতাংশ করার পরও প্রতিটা বেসরকারির ব্যাংকই কিন্তু মুনাফা করেছে। কারণ তারা ঋণের সুদ বাড়িয়ে আমানতের সুদ কমিয়ে দিয়েছে। তখন ডিপোজিটররা (আমানতদার) দেখেছে, সরকারি ব্যাংকে টাকা রাখলে লস হচ্ছে না। সরকারি সব ব্যাংকের সেবার মানও এখন ভালো। ফলে সরকারি ব্যাংকেই গ্রাহকদের আস্থা ফিরেছে। বেসরকারি ব্যাংকের মতো সরকারি ব্যাংকও এখন সব ধরনের সেবা দিতে পারছে। রপ্তানি, রেমিট্যান্সে সরকারি ব্যাংকগুলো বড় ভূমিকা পালন করে। অনলাইন সেবা চালু করা হয়েছে।

ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে খেলাপি ঋণ কমাতে হবে। আমি মনে করি খেলাপি ঋণ একদিনে বাড়েনি। সমাধানও একদিনে হবে না। খেলাপি ঋণের চলমান মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে। মামলার দীর্ঘসূত্রতার কারণে ঋণ আদায় হয় না। এককালীন ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে ঋণ নিয়মিতকরণের সুযোগে লাখ-কোটি টাকার খেলাপি ঋণ কমে গিয়েছিল।  

প্রশ্ন: নির্বাচন শেষ, নতুন মন্ত্রিসভা দায়িত্ব নিয়েছে। আর্থিক খাতের সংস্কারে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন?
ড. জায়েদ বখত: বিনিময় হার মার্কেট রেটের সঙ্গে সামঞ্জস্য করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংককে সংকোচনমূলক পদক্ষেপ নিতে হবে। সরকার যদি আরও শক্তভাবে মানিলন্ডারিংয়ের (মুদ্রাপাচার) বিষয় মোকাবিলা করে তাহলে পুঁজি পাচার কমে গেলে এক্সটারনাল (অভ্যন্তরীণ) খাতে স্বস্তি আসবে। বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য সরকারের যেসব মেগা প্রকল্প আছে সেগুলো দক্ষতার সঙ্গে বাস্তবায়ন করতে হবে। নতুন নতুন মন্ত্রীরা দক্ষতার সঙ্গে এগুলো এগিয়ে নিয়ে যাবেন। কারণ এগুলো বাস্তবায়িত হলে বেসরকারি খাতও ঘুরে দাঁড়াবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোল্ড লিডারশিপ (বিচক্ষণ নেতৃত্ব) আগে যেমন ছিল তেমনিভাবে সামনে এগিয়ে নিলে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে।

news24bd.tv/ডিডি

এই রকম আরও টপিক