সোনালী কাবিনের এই কবি দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহ ওয়া ইন্না ইলাহি রাজেউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। তিনি পাঁচ ছেলে ও তিন মেয়েসহ অসংখ্য ভক্ত ও অনুরাগী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুর খবরে সাহিত্যাঙ্গনে নেমে আসে শোকের ছায়া।
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি আল মাহমুদের জানাজা আজ শনিবার বাদ জোহর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হবে। বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর ফটকে তার নামাজে জানাজা হবে।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে আল মাহমুদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ইবনে সিনা হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়।
১৯৩৬ সালের ১১ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মোড়াইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন কবি আল মাহমুদ। তার প্রকৃত নাম মীর আব্দুস শুকুর আল মাহমুদ। তিনি বাংলাকাব্যে অনবদ্য বহুমাত্রিকতার সৃজনশীলতায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য দেশের জাতীয় পদকসহ বেশ কয়েকটি সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন।
সেগুলো হলো- বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদক, জয়বাংলা পুরস্কার, হুমায়ুন কবির স্মৃতি পুরস্কার, ফররুখ স্মৃতি পুরস্কার, অলক্ত সাহিত্য পুরস্কার, জীবনানন্দ দাশ স্মৃতি পুরস্কার, সুফী মোতাহের হোসেন সাহিত্য স্বর্ণপদক, ফিলিপস সাহিত্য পুরস্কার, নাসিরউদ্দীন স্বর্ণপদক, সমান্তরাল (ভারত) কর্তৃক ভানুসিংহ সম্মাননা পদক, লেখিকা সংঘ পুরস্কার, হরফ সাহিত্য পুরস্কার, অগ্রণী ব্যাংক শিশু সাহিত্য পুরস্কার, নতুনগতি পুরস্কার ইত্যাদি।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল)