৬৭৫০ টাকায় ৩ মাসের ফ্যামিলি ভিজিট ভিসা

৬৭৫০ টাকায় ৩ মাসের ফ্যামিলি ভিজিট ভিসা

মোহাম্মদ আল-আমিন, সৌদি আরব প্রতিনিধি

প্রথমবারের মতো সৌদি সরকার উন্মুক্ত করেছে ভ্রমণ ভিসা। ৪৪০রিয়ালে (৯৯০০টাকা) বিশ্বের ৪৯টি দেশের নাগরিকরা পাবেন এই সুবিধা। এই তালিকায় স্থান হয়নি বাংলাদেশ সহ সার্কভুক্ত কোনো দেশের।

তবে বাংলাদেশিদের জন্য সুখবর, পূর্ব নির্ধারিত ২ হাজার রিয়ালের (৪৫০০০টাকা) পরিবর্তে ৩০০রিয়ালে (৬৭৫০টাকা) সৌদি প্রবাসীরা পাবেন তাদের পরিবারের জন্য ৩ মাসের ফ্যামিলি ভিজিট ভিসা।

দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হওয়ায় খুশি সৌদি প্রবাসীরা।
 ‍
ভ্রমণ ভিসা নিয়ে নিউজ টোয়েন্টিফোরের সৌদি আরব প্রতিনিধি মোহাম্মদ আল-আমীন জানান, হজ পালনের উদ্দেশ্য ব্যতীত সৌদি আরবে অন্যান্য দেশের নাগরিকদের প্রবেশ ছিল অত্যন্ত ছোট পরিসরে। সৌদি আরবে মুসলিম জনগোষ্ঠীর প্রাণকেন্দ্র মক্কার অবস্থান থাকায় বিশেষ করে হাজীদের আনাগোনাই ছিল সবচেয়ে বেশি। তবে অর্থনীতিতে তেলের উপর নির্ভরতা কমিয়ে আনতে ও অর্থনীতিকে আরো সমৃদ্ধ করতে বিদেশি পর্যটকদের সৌদি আরবে প্রবেশের সুযোগ মিলছে।
দেশটি প্রথমবারের মতো বিদেশি পর্যটকদের জন্য ট্যুরিস্ট ভিসা চালু করছে।  

বাংলাদেশ সহ সার্কভুক্ত কোনো দেশ এই সুযোগ না পালেও সৌদিতে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের ফ্যামিলি ভিজিট ভিসার ফি ২ হাজার রিয়াল থেকে কমিয়ে ৩০০রিয়াল করা হয়েছে।

সৌদি প্রবাসী বাংলাদেশিদের দীর্ঘদিনের দাবি তাদের পরিবারের সদস্যদের ভ্রমণ ভসা ফি ২ হাজার রিয়াল থেকে কমিয়ে ৩০০রিয়াল পূরণ হওয়ায় সৌদি সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রবাসীরা।

সৌদি প্রবাসী, সেলিম মজুমদার জানান, দীর্ঘদিন যাবত বন্ধ রয়েছে বাংলাদেশিদের স্থানীয় ফ্যামিলি ভিসা। এর আগে যারা ফ্যামিলি নিয়ে এসেছেন ইকামাসহ নানা ধরনের বর্ধিত ফি'র কারণে অনেকেই বাধ্য হয়েছেন তাদের দেশে ফিরিয়ে দিতে। এই অবস্থায় সৌদি প্রবাসীদের একমাত্র অবলম্বন ছিল অস্থায়ী ভ্রমণ ভিসা। কিন্তু এই অস্থায়ী ভ্রমণ ভিসা ফি ছিল সাধরণ প্রবাসীদের নাগালের বাহিরে। প্রবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল সেই ফি যাতে কমিয়ে ৩০০রিয়ালে করা হয়। সৌদি সরকার সেই দাবি পূরণ করেছে। এখন ৩০০রিয়ালেই প্রবাসীরা তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আসতে পারবেন সৌদি আরবে। দেখতে পারবেন দেশটির ঐতিহাসিক স্থাপনা পালন করতে পারবেন উমরাহ হজ। আর সৌদি সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে খুশি প্রবাসীরা।

এ বিষয়ে সৌদি কর্তৃপক্ষ আশা করছে, পর্যটন খাতে দেশি-বিদেশি বিপুল বিনিয়োগ ঘটবে। এতে ২০৩০ সালের মধ্যে পর্যটন খাত দেশীয় উৎপাদনকে ৩ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে উন্নীত হবে। ইউনেস্কো স্বীকৃত ৫টি বিশ্ব ঐতিহ্য সহ দেখা যাবে ঐতিহাসিক ও পর্যটন কেন্দ্রগুলো।

ট্যুরিস্ট ভিসায় আসা পর্যটকরা মক্কায় ওমরাহ্‌ পালন ও মদীনায় মসজিদে নববী দেখার সুযোগ থাকলেও আগের মতোই মক্কা-মদীনায় নিষেধ থাকবে অমুসসলিমদের প্রবেশাধিকার।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)