৫ লাখ টাকা দিন, সুমিকে নিন

৫ লাখ টাকা দিন, সুমিকে নিন

মোহাম্মদ আল-আমীন, সৌদি আরব প্রতিনিধি

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া সৌদি আরবে নির্যাতিত বাংলাদেশি গৃহকর্মী সুমী আক্তারকে দেশে পাঠাতে হলে তার সৌদি নিয়োগ কর্তাকে ২২হাজার সৌদি রিয়াল (৪ লাখ ৯৫হাজার টাকা) পরিশোধ করতে হবে।

জেদ্দা বাংলাদেশ কনস্যুলেটের শ্রম কল্যাণ উইং এর কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম বলেন, ঢাকা থেকে নির্দেশনা পাওয়ার ১২ঘণ্টার মধ্যে স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় নাজরান এলাকায় অবস্থিত নিয়োগকর্তার বাড়ি থেকে সুমী আক্তারকে উদ্ধার করে একটি সেফহোমে রাখা হয়েছে।   

তিনি আরও বলেন, সুমীর নিয়োগকর্তার সঙ্গে কনস্যুলেটের কথা হয়েছে তিনি জানিয়েছেন, সুমীকে আনতে তার ২২হাজার সৌদি রিয়াল খরচ হয়েছে এবং তিনি নিয়মিত সুমীকে বেতনভাতা পরিশোধ করে আসছিলেন। এই অবস্থায় নিয়োগ কর্তার দাবি সুমীকে ফেরত নিতে হলে তার ২২হাজার সৌদি রিয়াল ফেরত দিতে হবে।

নিয়োগকর্তাকে ২২হাজার সৌদি রিয়াল এবং বিমান টিকেটের টাকা পাওয়া গেলে সুমীকে দেশে পাঠানো সম্ভব জানিয়ে আমিনুল ইসলাম বলেন, নিয়োগকর্তা এবং বিমান টিকেটের টাকায় সুমীকে সৌদি আরবে প্রেরণকারী মেসার্স রুপসী বাংলা ওভারসীজের (রিক্রুটিং লাইসেন্স নং ১১৬১) কাছ থেকে আদায় করার জন্য জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

সংশ্লিস্টরা বলছেন সৌদি নিয়োগকর্তার টাকা পরিশোধের পর বিমান টিকেট পাওয়ার পর নিশ্চিত হবে কবে নাগাদ সুমী দেশে ফিরতে পারবেন।
 
উল্লেখ্য, এক নির্যাতিতা বাংলাদেশি নারীর বাঁচার আকুতির ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে ওই নারী বলছেন, আমি মনে হয় আর বাঁচব না, আমি মনে হয় মরেই যাব।

আমি এখানে খুবই কষ্টে আছি। আমি চোখে কিছু দেখতে পাচ্ছি না। আমি জানি না এখান থেকে কি করে রক্ষা পাব। আমার আগের বাসায় অনেক নির্যাতন করেছে। ১৫ দিন এক ঘরে আটকে রেখে নির্যাতন করেছে, কিছু খেতে দেয়নি। ওখান থেকে আরেক জায়গায় পাঠিয়েছে সেখানেও নির্যাতন করা হচ্ছে। আমারকে গরম তেল দিয়ে হাত পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমারকে বেঁধে মারধর করা হয়েছে। আমাকে বাঁচাও। আমাকে এখান থেকে নিয়ে যাও। না হলে আমি মরেই যাব।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)