জিডিপির এত প্রবৃদ্ধির নেপথ্যে কৃষিখাতের সাফল্য, বলছে সরকার

জিডিপির এত প্রবৃদ্ধির নেপথ্যে কৃষিখাতের সাফল্য, বলছে সরকার

সুলতান আহমেদ

করোনার বছরেও বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ। পরিকল্পনামন্ত্রী বলছেন, অর্থনীতিতে কৃষি খাতের অবদানের ফসল এই প্রবৃদ্ধি। গেলো কয়েক বছরে কৃষিতে সফলতা আসলেও যান্ত্রীকিরণর সহ নানা কারণে ১৪ শতাংশ শস্য বিনষ্ট হচ্ছে বলে উঠে আসছে হিসেবে।  

কৃষি অধিদপ্তর অবশ্য বলছেন, আধুনিক কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে কাজ করছেন তারা।

 

কবির ভাষায় সুজলা, সুফলা, শস্য-শ্যামলা এক দেশ বাংলাদেশ। ছোট্ট আয়তনের হলেও এদেশের সোনার মাটিতে উৎপাদিত হচ্ছে হাজারো কৃষি পণ্য। ফলে জনসংখ্যা বাড়লেও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ। মোট দেশজ ‍উৎপাদন জিডিপিতেও কৃষি খাতের অবদান কম নয় প্রায় ১৪ শতাংশ।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো-বিবিএসের প্রাথমিক হিসেবে ২০১৯-২০ অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ।  

করোনার সময়েও কি করে এত প্রবৃদ্ধি, তা নিয়ে যখন দ্বিধাদ্বন্দ্বে গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো, তখন পরিকল্পনামন্ত্রী বলছেন, কৃষি খাতের সাফল্য এর পেছনে রেখেছে সবচেয়ে বড় অবদান।

করোনায় ফসল উৎপাদনে নানা জটিলতার পরও সমাপ্ত অর্থবছরে এ খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ১১ শতাংশ। আগের বছর মোট দানাদার খাদ্যশস্য উৎপাদন হয়েছে ৪৩২ লাখ মে. টন, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ১৭ লাখ মে. টন বেশি। তবে আধুনিক কৃষি যন্ত্রের অভাব, স্টোরেজ ব্যবস্থাসহ নানা কারণে উৎপাদন হওয়ার পরও ১৪ শতাংশ ফসল বিনষ্ট হচ্ছে।

কৃষি অধিদপ্তর অবশ্য বলছে, কৃষির আধুনিকায়নে সরকারের সুদুরপ্রসারি পরিকল্পনার কথা। চলতি বছরেই কৃষকদের যন্ত্রপাতির ব্যবহার শেখাতে বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে তারা।

এছাড়া শিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে কৃষিতে নিয়ে আসতে নানা রকম পরিকল্পনার কথাও জানান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।

নিউজ টোয়েন্টিফোর/নাজিম

এই রকম আরও টপিক