আপেলের পাইকারী দর ৭৫ টাকা। খুচরা বাজারে ক্রেতাদের সে আপেল কিনতে হয় ১৬০ থেকে ২৫০ টাকায়। বাজারে কমলা আনারসহ বেশ কয়েকটি ফল পাইকারী দরের চেয়েও দ্বিগুন দামে বিক্রি হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, দেশে ফলসহ বিভিন্ন কাঁচা পণ্য সংরক্ষণের অভাবেই নষ্ট হচ্ছে ২০ ভাগ।
যা সংরক্ষণ করা গেলে চাহিদা মিটিয়েও রপ্তানী করা যেত।ফল মানুষের শরীরের ভিটামিনের চাহিদা পুরণের অন্যতম উপাদান। দেশে ফলের চাহিদা যা তার বেশিরভাগই আমদানী নির্ভর। কিন্তু ভোক্তার হাতে আসার মাত্র এক হাত আগে-পরেই তৈরি হয় দামের আকাশ-পাতাল তফাৎ।
পাইকারী ব্যবসায়ীরা বলছেন, সবচেয়ে ভাল মানের আপেলের দাম ৭৫ টাকা কেজি। আর খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, মান ভেদে বিভিন্ন দামের আপেল আছে। ১৬০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেন তারা।
এটাই বাস্তবতা, যা বলছে, বাদামতলীর আমদানী করা চায়না আপেল ৬৫ থেকে ৭০ এবং সাউথ আফ্রিকান আপেল ৭০-৭৫ টাকায় কিনেন খুচরা বিক্রেতারা। এরপর সে একই আপেল বনানী বাজারে এসে দাম ধারণ করছে ১৬০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত। পাইকারী ২২০-২৫০ টাকার আঙ্গুর ক্রেতাদের কিনতে হচ্ছে ৩শ-৮শ টাকা পর্যন্ত। ৩শ টাকার ড্রাগন ফল বনানীতে বিক্রি হচ্ছে ৬শ থেকে ৮শ টাকায়। এমন নিয়ন্ত্রনহীন বাজারে আমের দাম ঠেকছে ৬শ টাকাতেও। খুচরা বিক্রেতারা বেশিরভাগ ফল দুই বা তিনগুন দামে বিক্রি করলেও এসব নিয়ে নেই কোনো তদারকি।
আরও পড়ুন: হাজী সেলিম এমপির গাড়ি থেকে বেরিয়ে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর
জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার জানান, ক্ষেত্র বিশেষে দামের তারতম্য পেলে জরিমানা করা হয়।
এসব ফল ও কাঁচা পণ্য সংরক্ষণে দেশে হিমাঘার রয়েছে মাত্র ৩৯০টি। যা উৎপাদিত কাঁচামাল সংরক্ষণে পর্যাপ্ত নয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে সংরক্ষণের অভাবেই প্রতিবছর উৎপাদিত ২০ ভাগ কাঁচা পণ্য নষ্ট হচ্ছে।
আর ফল পাকাতে কৃত্তিম রাইপেনিং সেন্টার না থাকায় নষ্ট হচ্ছে ফল। বঞ্চিত হচ্ছে রপ্তানী থেকেও। তাই দেশের মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা পূরণে সংরক্ষনাগার বাড়ানোর দিকে নজর দেয়ার আহ্বান বিশ্লেষকদের।
news24bd.tv আহমেদ