বুদ্ধিজীবীতার কিউট লড়াই

বুদ্ধিজীবীতার কিউট লড়াই

শওগাত আলী সাগর

কে ’কম বুদ্ধিজীবী’ আর কে ’বেশি বুদ্ধিজীবী’- এ নিয়ে বিতর্কে আমাদের বুদ্ধিজীবীদের আগ্রহ প্রবল। পত্রপত্রিকায় লেখালেখির মাধ্যমে কোনো বিষয় বা আদর্শ বা নীতি নিয়ে বুদ্ধিজীবীদের তর্ক বিতর্ক এখন সুদুরবর্তী কোনো কল্পনামাত্র। তাই বলে আমাদের বুদ্ধিজীবীতা একেবারেই বাদবিবাদমুক্ত -এমনটি ভাববার সুযোগ নাই। আমাদের বুদ্ধিজীবীতার প্রধান আগ্রহ হচ্ছে- নিজ নিজ গোষ্ঠীর পক্ষে বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর পিন্ডি চটকানোতে সকল শক্তি ব্যয় করা।

তাদের আগ্রহের জায়গা অবশ্যই ফেসবুক।

কখনো কোথাও কাউকে পুড়িয়ে মারলে, ছেলেধরা সন্দেহে পিটিয়ে মেরে ফেললে আমরা নাগরিকদের মানস- মনন ইত্যাদি নিয়ে ‘বুদ্ধিজীবীসুলভ’ নানা সুশীল প্রশ্ন তুলি, আহাজারি করি। কিন্তু গণমানুষের মানস গঠনে আমাদের বুদ্ধিজীবীতার ভূমিকা কিংবা অবদান, তাদের সফলতা -ব্যর্থতা নিয়ে তর্ক বিতর্ক দেখি না।


আরও পড়ুন: কুয়েতেও এমন মুলা পাওয়া যায়


আমাদের কবি - লেখকরা প্রায়শ:ই ফেইসবুকে তুমুল লড়াইয়ে লিপ্ত হন।

সেই লড়াইয়ে মূল বিতর্কটা হয় - কে ‘কম ধান্ধাবাজ’ আর কে ‘বেশি ধান্ধাবাজ’ তা নিয়ে। এই ধরনের তর্কের সময় এক গ্রুপ আরেক গ্রুপের যাবতীয় গোপন হাড়ি ভেঙ্গে দেন। এতে তাদের নিজের মানসিক যে দৈন্য দশার প্রকাশ পায় তাতে মানুষের মানস গঠনে তাদের কোনো ভুমিকা নিয়ে আলোচনার চেয়েও তারা যেনো কোনো ভূমিকাই না রাখেন সেই আকাঙ্ক্ষাই প্রবল হয়ে ওঠে।

বুদ্ধিজীবীতার এই কিউট লড়াইটা বরাবরই খুব উপভোগ্য হয়।

শওগাত আলী সাগর, প্রধান সম্পাদক, নতুনদেশ, কানাডা।

news24bd.tv আহমেদ

সম্পর্কিত খবর