আমার ছেলে সাঁকো বয়স ১০, গ্রেড সিক্সএ পড়ে। সে গত মাসে একই বিল্ডিং একটা টিউশানি পেল। যাকে পড়ায় সে গ্রেড ফাইভের ছাত্র। টিউশানির কথা শুনে সুরভি ওকে মজা করে বলে, যাক করোনায় আমরা যখন চাকরি হারাচ্ছি তুই তখন একটা কাজ পেলি।
জেনে আমিও খুশীই হলাম। খুশী হলাম এই ভেবে যে, সে কাউকে সাহায্য করতে পারবে, নিজেও চর্চার মধ্যে থাকবে, এ বিষয়ে অভিজ্ঞতাও হবে।টিউশানি করে সে যখন প্রথম মাসের বেতন পেল, টাকাটা এনে আমার টেবিলে রাখল। আমি বললাম এটা তো তোমার ইনকামের টাকা আমাকে দিচ্ছো কেন? সে বললো না তোমাকে ঠিক দিচ্ছি না, তোমাকে দেখানোর জন্য এখানে রেখেছি।
তারপর বললাম, তুমি তোমার প্রথম ইনকাম দিয়ে কি করতে চাও? সে বললো, আমি এ টাকা ডোনেট করতে চাই। আমি বললাম, কোথায় ডোনেট করবে? সে বললো আমি একটা আই ফাউন্ডেশনে দিব।
আমি বললাম কেন আই ফাউন্ডেশনে দেবে? সে বললো দেখ, আমি টিভিতে দেখেছি কানাডায় একটা অরগানাইজেশন আছে, ওরা গরীব দেশের অন্ধ শিশুদের চোখ ভাল করার জন্য কাজ করে। ওদের টাকা দিলে যদি কোন শিশুর চোখ ভাল হয় তাহলে সে দেখতে পাবে, স্কুলে যেতে পারবে। সেটা আমার ভাল লাগবে।
আমি জানি না ভবিষ্যতে আসলে ও কি করবে, তবে সেদিন ওর কথা শুনে মনটা ভরে দিয়েছিল। পরম মমতায় পিঠে হাত রেখে বলেছিলাম এ মন যেন নষ্ট না হয়।
news24bd.tv কামরুল