নারীর পোশাক যখন বিক্ষোভের ঢাল

নারীর পোশাক যখন বিক্ষোভের ঢাল

অনলাইন ডেস্ক

রাস্তার দুই পাশে ও মাঝে লাঠি দিয়ে দড়ি টানিয়ে তাতে ঝুলানো হয়েছে মেয়েদের লুঙ্গি, লং স্কাট। এটা দেখে অনেকেই মনে করতে পারে যে রোদে শুকাতে দেওয়া হয়েছে। আসলে এগুলো দেওয়া হয়েছে সেনা সদস্য ও পুলিশ ঠেকাতে। আর সেনা বা পুলিশও মেয়েদের কাপড় ডিঙ্গিয়ে আসছে না।

মিয়ানমারের বড় শহর ইয়াঙ্গুনে এমনই কিছু দৃশ্য দেখা গেছে।   

মিয়ানমারে মেয়েদের পোশাকের নীচের অংশ পুরুষদের জন্য সম্মান ও ক্ষমতাহানিকর বলে মনে করা হয়। ‘‘দড়িতে (মেয়েদের) লুঙ্গি ঝুলিয়ে রাখা হলে পুলিশ আর রাস্তায় আসছে না। তারা কাপড় অতিক্রম করে আসতে পারে না।

তাদেরকে সেগুলো নামিয়ে নিতে হয়,’’ বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলছিলেন আন্দোলনকারীদের একজন থিনজার শুনলেই ই। দেশটিতে মেয়েদের পোশাক নিয়ে এমন কুসংস্কার এখন আন্দোলকারীদের জন্য রক্ষাকবচ।

রাস্তায় লুঙ্গি টানিয়ে রাখার এসব ছবি ভাইরাল হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও। একটি ছবিতে একজন সৈনিককে ট্রাকের উপরে দাঁড়িয়ে লুঙ্গিগুলো সরিয়ে নিতেও দেখা গেছে।


ওমান সাগরে তৈরি হবে ইরানের সর্ববৃহৎ সমুদ্রবন্দর

নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে তাই ঘুম হয়নি শ্রাবন্তীর

ট্রাকচাপায় চবি আইন বিভাগের প্রথম ব্যাচের ছাত্রের মৃত্যু

শতকোটি টাকার মানহানির মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন শমী কায়সার


পুলিশ, সেনাবাহিনীর গাড়ি যাতে প্রতিবাদস্থলে পৌঁছাতে না পারে সেজন্য রাস্তায় বালুর বস্তাও ফেলে রাখছেন আন্দোলনকারীর।

দেশটির সামরিক প্রধান মিং অং হ্লাইং ছবি বা প্রতীকও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের জন্য ভীতিকর। কিছু লুঙ্গিতে তাই তার ছবি সেঁটে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এমনকি রাস্তায়ও সেনা প্রধানের পোস্টার ফেলে রাখা হয়েছে, যাতে সেগুলো মাড়িয়ে আন্দোলনকারীদের দমন করতে না আসে পুলিশ বা সেনাসদস্যরা।

এমনই অভিনব প্রতিবাদের অস্ত্র ব্যবহার করছে মিয়ানমারের সাধারণ মানুষ। সেনাবাহিনীর দমন পীড়নে এ পর্যন্ত প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। প্রতিদিনই মানুষ বিক্ষোভের জন্য রাস্তায় নামছে। সেনাবাহিনীও বিক্ষোভ দমন করার জন্য জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে।  

news24bd.tv আয়শা