আল্লাহ তাআলাকে সাক্ষী রেখে বিয়ে করা কি বৈধ?

আল্লাহ তাআলাকে সাক্ষী রেখে বিয়ে করা কি বৈধ?

অনলাইন ডেস্ক

আমাদের সমাজে প্রায়ই দেখা যায় দু’জন ছেলে মেয়ে একে অপরকে ভালোবেসে কাউকে কিছু না জানিয়ে বিয়ে করে ফেলে। এসব বিয়ে গোপনে হওয়া থাকে না কোন সাক্ষী। তখন দেখা যায় ছেলে-মেয়ে উভয়ই বলে থাকে আমরা আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বিয়ে করেছি। এখন প্রশ্ন হলো-

কাউকে না জানিয়ে ছেলে এবং মেয়ে দু’জনে মিলে শুধু আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বিয়ে করলে, সে বিয়ে কি সংগঠিত হবে? কিংবা তা কি বৈধ হবে? এ সম্পর্কে ইসলামের দিকনির্দেশনাই বা কী?

না, আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বিয়ে করলে তা সংগঠিত হবে না।

ইসলামের দিকনির্দেশনা হচ্ছে বিয়ের জন্য সাক্ষী শর্ত। সাক্ষী ছাড়া বিয়ে সংগঠিত হবে না। আর বিয়ে হলেও তা বৈধ হবে না। হাদিসে এসেছে-

হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তারা হল ব্যভিচারিনী- যারা সাক্ষী ছাড়া নিজেরাই নিজেদের বিবাহ করে নেয়।

’ (তিরমিজি)

আরও পড়ুন


ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুরের করোনা শনাক্ত

আজ ভয়াল ২৫ মার্চ, গণহত্যা দিবস

সিরাজগঞ্জে আওয়ামী লীগের সম্মেলনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, নিহত ১

পিতাকে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড


সময়ের গতিধারায় অনেক কিছুই বদলেছে। বর্তমান সময়ে অনেকে বিরাট আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিয়ে শাদি করে থাকেন। আবার অনেকে কোর্ট ম্যারেজসহ নানা ধরনের স্বল্পপরিসর বিয়ের আয়োজন করে থাকে। তবে কোনো নারী ও পুরুষ সাক্ষী ছাড়া শুধু আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বিয়ে করলে, সে বিয়ে সংঘটিত হবে না।

কেননা বিয়ে শুদ্ধ হওয়ার জন্য আবশ্যক ও ন্যূনতম শর্ত হলো-

দুই জন প্রাপ্তবয়স্ক, স্বাধীন ও সুস্থ মস্তিষ্কের অধিকারী পুরুষ অথবা

একজন প্রাপ্তবয়স্ক, স্বাধীন ও সুস্থ মস্তিষ্কের অধিকারী পুরুষ ও দুইজন নারী।

এসব পুরুষ ও নারী বিয়ের ইজাব (প্রস্তাব) ও কবুল (গ্রহণ) করার বিষয়টি বর-কনের মুখ থেকে নিজ নিজ কানে শুনবে। আর এর মাধ্যমেই ছেলে-মেয়ের বিয়ের বন্ধন বৈধ হবে। (বাহরুর রায়েক, দুররুল মুখতার, ফাতহুল কাদির, হেদায়া)

news24bd.tv আহমেদ