ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভিজিএফ-এর কার্ড দেয়ার কথা বলে টাকা নেয়ার অভিযোগ

ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভিজিএফ-এর কার্ড দেয়ার কথা বলে টাকা নেয়ার অভিযোগ

Other

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মোবারকপুর ইউপি চেয়ারম্যান তোহিদুর রহমান মিঞার বিরুদ্ধে ভিজিএফ কার্ডধারীদের কাছ থেকে অগ্রিম ২৫০ টাকা করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চেয়ারম্যান তোহিদুর রহমান মিঞা।

জানা গেছে, পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে উপজেলার মোবারকপুর ইউনিয়নে ২ হাজার ৩’শ ৫টি অসহায় পরিবারের জন্য ৪ ৫০ টাকা হারে ১০ লাখ ৩৭ হাজার ২৫০ টাকা ও অতিদরিদ্র ৫’শ পরিবারের জন্য ৫’শ টাকা হারে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। কিন্তু এ ইউনিয়নের শিকারপুর ও দাইপুখুরিয়া গ্রামের প্রায় ৭’শ পরিবারের কাছ থেকে অগ্রিম ২ শত ৫০ টাকা করে ইউপি চেয়ারম্যান তৌহিদুর রহমান মিঞার নাম করে আদায় করেছেন তার সহকারি দাইপুখুরিয়া গ্রামের আবু বক্করের ছেলে একরামুল হক।

একই সঙ্গে তিনি ওই পরিবারগুলোর পরিচয়পত্রের ফটোকপিতে সিরিয়াল নম্বর উল্লেখ করে দেন।

আরও পড়ুন


বরিশালে ৪০০ অসহায় পরিবারের মাঝে সেনাবাহিনীর ত্রাণ বিতরণ

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাছ কাটা ও অবকাঠামো নির্মাণ বন্ধে হাইকোর্টে রিট

নওগাঁয় অসহায় কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দিল শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

করোনামুক্ত খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতি: ফখরুল


আজ রোববার সকালে মোবারকপুর ইউনিয়নের শিকারপুর ও দাইপুখুরিয়া গ্রামের প্রায় শতাধিক ভুক্তভোগী নারী ইউপি চত্বরে ভিজিএফের টাকা নেয়ার জন্য জড়ো হন। এ সময় ভূক্তভোগী নারীদের উপস্থিতি টের পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও একরামুল হক সটকে পড়েন। ওই নারীরা আরও জানান, যদি ভিজিএফের টাকা না পাওয়া যায়, তাহলে আদায় করা টাকাগুলো তাদের ফেরত দেয়া হোক।

এ বিষয়ে একরামুল হকের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে মোবারকপুর ইউপি চেয়ারম্যান তৌহিদুর রহমান মিঞা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি কোন টাকা নেননি এবং কেউ টাকা নিয়েছে কিনা এব্যাপারে তিনি কিছু বলতে পারবেন না। এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাকিব আল-রাব্বি বলেন, জরুরী ভিত্তিতে ট্যাগ অফিসারকে সাথে নিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

news24bd.tv আহমেদ