যার অপমানবোধ বেশি, সে মূলত অপমানিত হওয়ার যোগ্য

যার অপমানবোধ বেশি, সে মূলত অপমানিত হওয়ার যোগ্য

Other

সমাজে ভিন্নমত চর্চার একটি অসাধারণ সুযোগ হতে পারে খেলাধূলা নিয়ে তর্ক। এ তর্ক করার সময় শুধু একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে— কোনো অবস্থাতেই যেন প্রতিপক্ষ সমর্থকের উপর আপনার ব্যক্তিগত রাগ তৈরি না হয়। যদি এরকম হওয়ার সুযোগ থাকে, তাহলে ধরে নিতে হবে আপনি সামাজিক জীব নন। যিনি সামাজিক জীব নন, তার সামাজিক অধিকার সীমিত হয়ে পড়ে।

তার কাছ থেকে ভালো রাজনীতিক গুণাবলী আশা করা যায় না। রাজনীতি এবং খেলা, এ দুটিকে একটু উদারভাবে আমলে নিতে হবে। মাথা ফাটিয়ে দেবো, দেখে নেবো, এ মনোভাব থাকলে কখনো খেলাধূলা ও রাজনীতিতে অংশ নেয়া উচিত নয়।  

মানুষ তো মানুষের সাথেই কথা বলবে, তর্ক করবে।

কথা বলা এবং শোনা, এ দুটি কাজ করার সময় অপমানবোধ একটু দূরে রাখতে হবে। যাদের অপমানবোধ প্রচন্ড, তাদের উচিত মানুষের সংসর্গ এড়িয়ে চলা। মানুষ স্বৈরাচারী হয় অতিরিক্ত অপমানবোধের কারণে। যার অপমানবোধ বেশি, সে মূলত অপমানিত হওয়ার যোগ্য। মানুষ কথা বলার সময় অনেক কথা নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গীতে বলে, যা অন্যের দৃষ্টিভঙ্গীতে ভুল অর্থ তৈরি করে। তর্কাতর্কির সময় এ বিষয়টি একটু খেয়াল রাখতে হবে। কারও মুখ থেকে অপমানসূচক কিছু শুনলেই ক্ষিপ্ত হওয়া যাবে না। আপনি যে অর্থে কথাটিকে বুঝেছেন, বক্তা হয়তো সে অর্থে নাও বলতে পারেন।  

হাসাহাসিতে হারানোর কিছু নেই। মানুষের উচিত বেশি বেশি করে হাসা। একটি ছোট হাসি দিয়ে অনেক সময় বড় বিপর্যয় এড়ানো যায়।  

(মত ভিন্ন মত বিভাগের লেখার আইনগত ও অন্যান্য দায় লেখকের নিজস্ব। এই বিভাগের কোনো লেখা সম্পাদকীয় নীতির প্রতিফলন নয়। )

news24bd.tv/আলী