আজ সকাল এগারোটায় সানিয়া আক্তার নামে আমার একজন সহকর্মী বোন (জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট) করোনাক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তিনি আমার আগের ব্যাচে চাকুরি পেলেও বয়সে আমার অনুজই হবেন৷ এ অল্পবয়সে আল্লাহ তাকে নিয়ে গেছেন।
আল্লাহ তার পরিবারকে শোক সইবার সামর্থ্য দিক।
সানিয়া আপা ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলে জানলাম৷ গত বছর আমার আরেক সহকর্মী নুসরাত জাহানের বোন অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় করোনাক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
আমি দেখলাম অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের করোনাক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক বেশি৷ আগামী মাসের পাঁচ তারিখ বিধিনিষেধ উঠে গেলে প্রত্যেক পেশার অনেক অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকেই কাজে যেতে হবে। এতে তারা করোনার ঝুঁকিতে পড়ে যাবেন।
সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কী পারে না এ ঝুঁকি থেকে তাদের কিছুটা রক্ষা করতে! একটা সার্কুলার জারি করতে পারে অন্তঃসত্ত্বা নারীরা কর্মস্হলে আসতে হবে না।
সুপ্রিম কোর্টের ১৯শে জুলাই, ২০২০ সালের সার্কুলারে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের কর্মস্হলে আসতে বারণ করা হয়েছে। সরকারি অন্যান্য অফিসেও যেন এমন আদেশ দেয়া হয় আর যে সকল প্রতিষ্ঠান এমন আদেশ দিয়েছেন সেখানে যেন এর প্রতিপালন করা হয়।
একইভাবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও এমন সিদ্ধান্ত নেয়া আবশ্যক। দ্রুত এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া সঙ্গত বলে আমি মনে করি। দুটো মানুষের জীবন ও তাদের ঘিরে থাকা এত এত মানুষের দিকে তাকিয়ে কি এমন একটা সিদ্ধান্ত নেয়া যায় না?
লেখাটি কাজী শরীফ (সহকারী জজ ,নোয়াখালী)-এর ফেসবুক থেকে নেওয়া (সোশ্যাল মিডিয়া বিভাগের লেখার আইনগত ও অন্যান্য দায় লেখকের নিজস্ব। এই বিভাগের কোনো লেখা সম্পাদকীয় নীতির প্রতিফলন নয়। )
আরও পড়ুন:
করোনায় ঝালকাঠির আদালতের বিচারকের মৃত্যু!
আগস্ট মাসের দুই দিন বন্ধ থাকবে ব্যাংক
বিভিন্ন জেলায় করোনায় প্রায় দেড় শতাধিক মৃত্যুর
সিলেট বিভাগে করোনায় শনাক্ত ও মৃত্যু নতুন রেকর্ড
news24bd.tv / কামরুল