পরীমনি আসলে নায়িকা নয়,নায়কও নয়,রীতিমত মহানায়ক !
বলবেন,কেন?
বলছি...
০১। র্যাব,পুলিশসহ আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার শত শত সদস্য যখন তার বাড়ি ঘেরাও করেছে গ্রেফতারের জন্য তখন 'হায় কি হল'বলে ঘরের মেঝেতে বসে সে বিলাপ করেনি। উল্টো ফেসবুক লাইভে এসে ঝটকায় পুরো দেশের নজর তাঁর দিকে টেনে এনেছে।
০২।
০৩। তাকে যখন গ্রেফতার করে বাড়ির বাইরে নিয়ে যাওয়া হয় তখন সে সালোয়ার কামিজ বা শাড়ি নয়, রীতিমত প্যাণ্ট-শার্ট পরে পুলিশের গাড়িতে উঠেছে। এসময় অন্যদের মত সে মুখ ঢেকে, মাথা নীচু করে রাখেনি।
০৪। শ শ পুলিশের সাথে সামনে থেকে সে যখন হেঁটে গেছে তখন তার ড্রেস, হাঁটার ভঙ্গি দেখে তাকে আসামী বলে মনেতো হয়ইনি বরং ছবির দিকে তাকালে মনে হয়েছে বিশাল মাপের কোন রাজনৈতিক নেতা রাজসিক নিরাপত্তার ছায়ায় জনসভায় ভাষণ দিতে যাচ্ছেন।
০৫। আদালতে,আদালত প্রাঙ্গনে তাকে সাধারণ মানুষের মত কারও করুণা প্রার্থনা করতে বা অসহায়ের মত কাঁদতে দেখা যায়নি। বরং মিডিয়াকে লক্ষ্য করে চিৎকার করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করতে দেখা গেছে,যেমনটা দেখা যায় পোড়খাওয়া রাজনৈতিক নেতাদের ক্ষেত্রে।
০৬। সবশেষ চমকটা ছিল আজ সকালের। সে কাশিমপুর কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে, মলিন পোষাকে, মিডিয়ার ক্যামেরা এড়িয়ে কালো কাঁচে ঘেরা কোন গাড়িতে উঠে কারাগার প্রাঙ্গন থেকে টুপ করে বাড়ি ফিরে যায়নি। বরং অত্যন্ত ঠাণ্ডামাথায় সে তার পরিকল্পনা সাজিয়েছে। ধবধবে শুভ্র সাদা ড্রেস পরে, সাদা রঙের ওড়নাকে পাগড়ির মত করে মাথায় বেঁধে চারপাশ হাসিতে আলোকিত করেই সে বাড়ি ফিরেছে।
০৭। এই ফিরে যাবার সময়ও সে হাতের তালুতে মেহেদীর রঙে কিসব লিখে-এঁকে সবাইকে ধাঁধাঁয় ফেলে দিয়ে গেছে। এখন চলছে ঐ সাদা হাতের নকশা,লেখাটি কাকে উদ্দেশ্য করে লেখা তার রহস্যভেদের ইঁদুর দৌড়।
এবার বলুন পরীমনি,অবলা নারী,অতি সাধারণ মানের নায়িকা,নাকি একটি ঘটনার মহানায়ক।
লেখাটি সাইফুদ্দিন আহমেদ নান্নু- এর ফেসবুক থেকে নেওয়া (সোশ্যাল মিডিয়া বিভাগের লেখার আইনগত ও অন্যান্য দায় লেখকের নিজস্ব। এই বিভাগের কোনো লেখা সম্পাদকীয় নীতির প্রতিফলন নয়। )
news24bd.tv/এমি-জান্নাত