ইউটার্ন করেছে দেশের অর্থনীতি

Other

স্বাভাবিক হয়ে উঠছে দেশের অর্থনীতি। বাড়ছে আমদানি, এতে ব্যাংকগুলোতে তৈরি হয়েছে ডলার সংকট। বাড়তি ডলারের চাহিদা সামাল দিতে এক মাসে ৩৬ কোটি ডলার বাজারে ছেড়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।  

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও আমদানি খরচ কমিয়ে আনতে সর্বোচ্চ চেষ্টা রয়েছে তাদের।

তবে দীর্ঘমেয়াদে সংকট মেটাতে রপ্তানি-রেমিট্যান্স বাড়াতে গুরুত্ব দিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।   

লকডাউনের পর পুরোদমে সচল হয়েছে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। এতে অনেকটা ইউটার্ন করেছে দেশের অর্থনীতিও। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় আটকে থাকা প্রকল্পগুলোর কাজ শুরু করছে উদ্যোক্তারা।

এতে দেশের বাইরে থেকে আমদানি বেড়েছে কয়েকগুণ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসেবে জুন শেষে আমদানি বেড়েছে প্রায় ৪৫ শতাংশ।

শুধু তাই নয়, ২০২১ সালে জুন প্রান্তিকে ১৪৮ টি দেশি-বিদেশী প্রতিষ্ঠানকে শিল্প ইউনিট স্থাপনের অনুমতি দিয়েছে বিডা।   আগের বছর যা ছিলো ৪৬ টি। এসব শিল্প ইউনিট বিনিয়োগ হচ্ছে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা। আবার এসব প্রকল্প চালু করতে দেশের বাইরে থেকে আমদানি বেড়েছে কয়েকগুন। ফলে ব্যাংকগুলোতে বেড়েছে ডলারের চাহিদা।

ডলারের চাহিদা বাড়ায় টাকার বিপরিতে এর দামও বেড়েই চলেছে। এক বছরের ব্যবধানে ডলারের দাম বেড়েছে অন্তত ছয় শতাংশ। সবশেষ ৮৫ টাকা ২০ পয়সা দরে ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রিয় ব্যাংক। তবে ব্যবসায়ীদের গুণতে হচ্ছে আরও বাড়তি দাম।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসেব বলছে, গেলো এক মাসে বাজারে ৩৬ কোটি ডলার বিক্রি করেছে তারা। বিনিময়ে বাজার থেকে ৩১০০ কোটি টাকা তুলে নিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুখপাত্র অবশ্য আশ্বস্ত করছেন, ৪৮ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ থাকায় ভয়ের কারণ নেই।

তবে রপ্তানি ও রেমিট্যান্স বেড়ে গেলে ডলারের ওপর চাপ কমে আসবে বলেও জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তারা।

news24bd.tv নাজিম