৩ হাজার কিলোমিটার দূরে বিরল পেঙ্গুইন উদ্ধার

৩ হাজার কিলোমিটার দূরে বিরল পেঙ্গুইন উদ্ধার

অনলাইন ডেস্ক

এন্টার্কটিকা থেকে অন্তত ৩ হাজার কিলোমিটার (১,৮৬৪ মাইল) দূরে নিউজিল্যান্ডের সমুদ্র উপকূলে একটি পেঙ্গুইন উদ্ধার করা হয়েছে। খবর বিবিসির।

এটি অ্যাডিলি প্রজাতির একটি পেঙ্গুইন। এন্টার্কটিকা মহাদেশের সমুদ্র উপকূলে এর বাস।

এটি সামুদ্রিক পাখিদের মধ্যে সবচেয়ে দক্ষিণে বসবাস করে।  

এটি নিউজিল্যান্ড উপকূলে এই প্রজাতির পেঙ্গুইন খুঁজে পাওয়ার মাত্র তৃতীয় ঘটনা।

স্থানীয়রা পেঙ্গুইনটির নাম দিয়েছে পিঙ্গু। উপকূলে হারিয়ে যাওয়া এই পেঙ্গুইনটিকে প্রথম খুঁজে পান হ্যারি সিং নামে এক স্থানীয়।

তিনি বলেন, তিনি প্রথমে এটাকে দেখে 'সফট টয়' ভেবেছিলেন।

pingu on newzealand

ক্রাইস্টচার্চ শহরের দক্ষিণে বার্ডলিংস ফ্ল্যাট অঞ্চলে প্রথম পেঙ্গুইনটি উদ্ধার করা হয়। সারাদিন কাজের শেষে ফিরে আসার সময় হ্যারি সিং এবং তার স্ত্রী পেঙ্গুইনটিকে খুঁজে পান।

হ্যারি সিং বিবিসিকে বলেন, প্রথমে আমি এটাকে 'সফট টয়' ভেবেছিলাম। হঠাৎ পেঙ্গুইনটি মাথা ঘোরালে আমি বুঝতে পারি এটা আসলেই পেঙ্গুইন।

তিনি পেঙ্গুইন উদ্ধারকারীদের খবর দেন এবং এটাও নিশ্চিত করেন পেঙ্গুইনটি যেন আবার পানিতে ফিরে না যায়। পানিতে পেঙ্গুইনটি সহজেই হিংস্র কোন সামুদ্রিক প্রাণীর সহজ শিকারে পরিণত হতে পারতো।

হ্যারি সিং বলেন, আমি চাইনি পেঙ্গুইনটি কোন কুকুর-বিড়ালের পেটে যাক। পেঙ্গুইনটি একই জায়গায় প্রায় এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ছিল।

pingu visits newzealand

প্রায় ১০ বছর নিউজিল্যান্ডের দক্ষিণ উপকূলে পেঙ্গুইনের পুনর্বাসন নিয়ে কাজ করেন থমাস স্ট্র্যাক। তিনি অ্যাডিলি পেঙ্গুইনটিকে দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, পেঙ্গুইনের এই প্রজাতিটি এন্টার্কটিক উপদ্বীপে বাস করে।  

তবে পেঙ্গুইনটি এতোদূর কীভাবে এসেছে এ নিয়ে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।

এর আগে নিউজিল্যান্ডে ১৯৯৩ এবং ১৯৬২ সালে আরও দুইবার এই প্রজাতির পেঙ্গুইন খুঁজে পাওয়া যায়। এই অঞ্চলে অ্যাডিলি পেঙ্গুইন খুঁজে পাওয়ার এটি মাত্র তৃতীয় ঘটনা।

বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, নিউজিল্যান্ডে এই প্রজাতির পেঙ্গুইন খুঁজে পাওয়া বিরল ঘটনা। তবে ভবিষ্যতে যদি আরও পেঙ্গুইন এমন আসতে থাকে তবে তা একটি বিপদের চিহ্ন হতে পারে।

ওটাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ফিলিপ সেডন দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, "আমি মনে করি এখন থেকে প্রতিবছরই পেঙ্গুইনরা এখানে পাড়ি দেবে। সমুদ্রে হয়তো কোন পরিবর্তন ঘটছে যা আমাদের জানতে হবে। আরও গবেষণার মাধ্যমে আমাদের দেখতে হবে পেঙ্গুইনেরা কোথায় যাচ্ছে, কী করছে, এর সংখ্যার কোন পরিবর্তন হচ্ছে কিনা- এ থেকে আমরা সমুদ্রের বাস্তুসংস্থানের কোন পরিবর্তন হচ্ছে কিনা এ সম্পর্কে জানতে পারবো। "

আরও পড়ুন:

মিয়ানমারে মার্কিন সাংবাদিকের ১১ বছরের কারাদণ্ড


news24bd.tv/ নকিব