ফিফা বিশ্বকাপে ২৬০ মিলিয়ন মানুষের কাছে পৌঁছালো টি-স্পোর্টস

সংগৃহীত ছবি

ফিফা বিশ্বকাপে ২৬০ মিলিয়ন মানুষের কাছে পৌঁছালো টি-স্পোর্টস

অনলাইন ডেস্ক

ফিফা বিশ্বকাপে টি-স্পোর্টসের বিশেষ সব আয়োজন স্যোশাল মিডিয়ায় তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। ফেসবুক, ইউটিউব ও টিকটকে ২৬০ মিলিয়ন ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছে। এই হিসাব বিশ্বকাপ ফাইনালের আগের দিন (১৮ ডিসেম্বর) পর্যন্ত। ফিফা বিশ্বকাপে দর্শক প্রিয়তার জায়গায় টি-স্পোর্টস এখন অপ্রতিরোধ্য এক নাম।

ফুটবলের প্রতি লাল-সবুজ মানচিত্রের আবেগ, ভালোবাসা ও উত্তেজনাকে মাথায় রেখে ফিফা বিশ্বকাপকে বিশাল কলেবরে সম্প্রচারের সিদ্ধান্ত নেয় দেশের একমাত্র স্পোর্টস চ্যানেল-টি স্পোর্টস। বাংলাদেশ প্রথমবার দেখেছে  গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের মহাযজ্ঞ।

ম্যাচ শুরুর আগে ও পরে বিশ্বনন্দিত সাবেক তারকা ফুটবলারদের অংশগ্রহণ, ম্যাচ নিয়ে দেশসেরা বিশ্লেষকদের পিন-পয়েন্ট ডিসকাশন, গ্রাফিকাল অ্যানালাইসিস ছিল পুরো আসর জুড়ে।  

কাতার বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ এবং ম্যাচের আলোচিত বিষয় নিয়ে টি-স্পোর্টস সমর্থকদের দিনটা শুরু করেছে বিশ্বকাপের সকাল দিয়ে।

ম্যাচের প্রিভিউ, রিভিউ কিংবা বিশ্বকাপকে ঘিরে সব সংবাদ এক করে টি-স্পোর্টসের দক্ষ সংবাদকর্মীদের নিবেদনে বিশেষ নিউজ বুলেটিন ‘ওয়ার্ল্ড কাপ মঞ্চ’ সাজানো হয়।

বিশ্বকাপ ইতিহাসে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য সব মুহূর্তকে এক করে ফুটবল প্রেমীদের স্মৃতির ভেলায় ভাসাতে ‘মেমোরেবল মোমেন্টস’ এর আয়োজন ছিল উল্লেখ করার মতো।

ম্যাচ-পরবর্তী প্রতিটি খেলোয়াড় নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ, ব্যক্তিগত পারফরমেন্স অ্যানাইসিস নিয়ে ‘ওয়ার্ল্ড কাপ স্ট্যান্ড’ এর আয়োজন করা হয়।  

কাতার ও বাংলাদেশের পথে পথে বিশ্বকাপ নিয়ে ফুটবল সমর্থকদের উত্তেজনা এবং উন্মাদনাকে নজর রাখা হয় ‘বিশ্বকাপ পথে পথে’ আয়োজনের মাধ্যমে।

বিশ্বকাপের রঙ বদলে দিয়েছে টি-স্পোর্টসের সুপার সিক্স ক্যাম্পেইনার। সৃজনশীল প্রডিউসার, ভিডিও এডিটর এবং অভিজ্ঞ দুই ভিডিওগ্রাফারের সঙ্গে দুই দক্ষ ফুটবল জার্নালিস্ট নাভিল খান এবং রিফাত মাসুদ। কাতার ওয়ার্ল্ড কাপের আদ্যোপান্ত, কঠিন সমীকরণকে সহজ-সাবলীল উপস্থাপনে বাংলাদেশের মানুষের কাছে ফুটবলকে আরও প্রাণবন্ত করেছেন।

বিশ্বকাপে তাক লাগানো আয়োজনে পুরো বিশ্বকে চমকে দেওয়া কাতারের প্রস্তুতি এবং হোস্ট সিটির নানান আয়োজন নিয়ে ‘ওয়ার্ল্ড কাপ ভ্লগে’ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
 
ম্যাচের আগে ও পরে প্রতিটি দলের সবশেষ তথ্য, বিশ্লেষণ, সম্ভাব্য প্রেডিকশন নিয়ে দুই ভিন্নধর্মী প্রোগ্রাম, ‘ওয়ার্ল্ড কাপ ফোরকাস্ট’ এবং ‘ওয়ার্ল্ড কাপ রাউন্ড আপ’ এর আয়োজন ছিল।  

ফলস্বরূপ, টি স্পোর্টসের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশ্বকাপ পৌঁছে গেছে ২৬ কোটি দর্শকের মাঝে (কাতার বিশ্বকাপ ফাইনালের আগের দিন পর্যন্ত)। তাদের ফেসবুক পেজের মাধ্যমে ১৯৫ মিলিয়ন বা সাড়ে ১৯ কোটি, ইউটিউব চ্যানেলে ৫৫ মিলিয়ন বা সাড়ে ৫ কোটি ও টিকটকের মাধ্যমে ১০ মিলিয়ন বা ১ কোটি দর্শকের কাছে বিশ্বকাপ ফুটবল পৌঁছেছে। অর্থাৎ শুধু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করেই ২৬০ মিলিয়ন বা ২৬ কোটি দর্শকের কাছে বিশ্বকাপ ফুটবল পৌঁছে দিল টি স্পোর্টস।

স্যোশাল মিডিয়া ভিউয়ারের এই সমষ্টি বাংলাদেশ ছাড়াও ইন্ডিয়া, সৌদি আরব, আরব আমিরাত, কাতার, মালয়েশিয়া, ওমানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে।  

এ অর্জন খেলাপ্রেমী সমর্থকদের। টি-স্পোর্টসকে ভালোবাসা প্রতিটি দর্শকের। আপনাদের ভালাবাসায় বিশ্বকাপ মাইলেজ ২৬০ million & counting... ভালোবাসা চলুক অসীমের পথে...